প্রশাসকের নির্দেশে এবার পরিস্কার হলো চান্দগাঁওয়ের বামনশাহী খাল

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের দায়িত্ব পালনের মেয়াদকাল শেষের পথে। কিন্তু প্রশাসকের দায়িত্ব পওয়ার শুরু থেকে যেভাবে কর্পোরেশনের সার্বিক কাজে গতির সঞ্চার করেছিলেন শেষ পর্যায়েও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সার্বিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর এর মূল কারীগর হলেন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। তাঁর নির্দেশনায় এবার নগরীর অন্যান্য খালের ন্যায় পরিস্কার করা হলো ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বামনশাহী খাল।

মঙ্গলবার ভোরে থেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম চালায় চসিকের পরিচ্ছন্ন সেবকরা, তাদের সহযোগীতা করে কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের যান্ত্রিক শাখা। দীর্ঘদিন অপরিস্কার না হওয়ার কারণে নগরীর এই খালটি বড় বড় কচুরিপানা ও গৃহস্থালি বর্জ্যে ভরে যায়। ফলে পানি প্রবাহ বন্ধের পাশাপাশি বৃদ্ধি পায় মশার বংশ বিস্তার। খালের এই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ফলে পানি চলাচল স্বাভাবিক হয়। ধংস হয় মশার আবাসস্থল। পরিস্কার হওয়া এই খালে মশার ওষুধ এডাল্টি সাইড ও ফগার মেশিনের সাহয্যে স্প্রে করা হয়। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। যে কারণে দীর্ঘ সময় ধরে নগরের সবগুলো খাল অপরিস্কার ছিলো।

এবারই প্রথম প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন কর্পোরেশনের দায়িত্বের বাইরে গিয়ে খাল পরিস্কারে হাত দিলেন। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাকালে চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বাসিন্দারা চসিকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত রির্পোট দেখে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নাগরিক দুর্ভোগ নিরসনে এ ব্যবস্থা নেন। যা সব সেবা সংস্থার প্রধানদের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে। পরিচ্ছন্ন অভিযান চলাকালে কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তারা প্রশাসকের খালে ও নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেলার বার্তা পৌঁছে দেন। তারা নিজ স্বার্থে খালগুলো পরিস্কার রাখার অনুরোধ করেন।

এসময় অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী ও প্রশাসকের একান্ত সচিব সৌরভ দত্ত রাজু উপস্থিত ছিলেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *