রামগড়ে কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ডালপালা ছাঁটার নামে বৃক্ষ উজাড়

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির রামগড়ে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে কৃষি অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে ডালপালা ছাঁটার নামে মূল্যবান অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে কেন্দ্রটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সম্মতিতে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা খোঁজখবর নেয়ার পর তিনি অসৌজন্যতা দেখিয়েছেন বলেও সাংবাদিকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি গেস্ট হাউজের পেছনে, অফিসের আশপাশসহ আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন বাগানের বিভিন্ন স্পটে নানা প্রজাতির অনেকগুলো মূল্যবান গাছ কাটা হয়েছে। কাটা গাছগুলির কিছু অংশ কেটে লাকড়ি হিসেবে শ্রমিকদের মাঝে কিছু বিক্রি করা হয়েছে বাকী অংশগুলি স্থানীয় করাত কলে চিড়ানোর পর অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের অফিস ভবনের উত্তর পার্শ্বে ও গেস্ট হাউজসংলগ্ন আরো একটি বড় কাঁঠাল গাছ কেটে রাখা হয়েছে। কাটা গাছের স্মৃতিচিহ্ন লুকাতে কাটা গাছের শেকড়শুদ্ধ তুলে ফেলা হয়েছে।

এই বিষয়ে অফিস সহকারী সুনীল দাস জানিয়েছেন গাছ কাটার লিখিত কোন অনুমতি তাদের কাছে নেই। সরকারি অনুমতি ছাড়া কিভাবে এসব মূল্যবান সরকারি গাছ কাটা হচ্ছে এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক জানান, মাতৃগাছ রক্ষায় গবেষণার জন্য গাছপালা কাটার প্রয়োজন হয়। অনুমতির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দেয়া হয়েছিল কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র গাছের ডালপালা কাটা হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা গাছ কাটার ছবি ও ভিডিও তুলে ধরলে তিনি চুপ হয়ে যান।

পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.এস এম ফয়সাল অশ্রু অফিসে না থাকায় মুঠোফোনে জানিয়েছেন বারি-২ মাতৃকাঁঠাল গাছের ফল কাঠবিড়ালের আক্রমণ হতে রক্ষা করার জন্য কিছু চাপালিশ গাছের ডাল কাটা হয়েছে। কটেজের রান্নাঘরের পাশের কাঁঠাল গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, অফিসে আসলে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

রামগড় উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা এয়ার আহমেদ জানান, সরকারি গাছ কাটতে হলে স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করতে হয়। তারপর যে দপ্তরের গাছ সে দপ্তরের হেড অফিস থেকে বন বিভাগকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়। রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণার গাছ কাটার বিষয়ে বনবিভাগে কোন লিখিত অনুমতি আসেনি।

২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *