নিজের মনের কালিমা মুছতে পারলে সমাজ-পরিবেশ- প্রকৃতি শুদ্ধ হবে:বিদায়ী চসিক প্রশাসক

নিজের মনের মনীলতা ও কালিমা মুছতে পারলে সমাজ, প্রকৃতি, রাষ্ট্র ও সরকার মঙ্গলময় হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে আমার ১৮০ দিনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের যে পরিবর্তন তার প্রধান কারিগর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আমি সাধুবাদ জানাই তাদের।

আজ সকালে আন্দরকিল্লাস্থ সিটি কর্পোরেশনের পুরোনো নগর ভবনের কে.বি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়া বিদায়ী শুভেচ্ছা প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন সদ্য সাবেক চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

তিনি আরো বলেন, বিদায় বলতে বুঝি শেষ বিদায়, তবে তা নয়। আমি কর্মে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। এই শহরে আমার জম্ম, এই শহরে বেড়ে ওঠা, এই শহরেই আমার মৃত্যু হবে। ছাত্র জীবনে রাজনীতির হাতেখড়ি নিয়ে রাজপথকে আমার ঠিকানা বানিয়েছি। এখান থেকে চট্টগ্রাম নগরকে নিয়ে আমার স্বপ্ন দেখা। ১৮০ দিনের অভিজ্ঞতায় ভালকে গ্রহণ করেছি-মন্দকে পরিহার করেছি। আমি অনুধাবন করেছি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে অনেক মেধাবী কর্মকর্তা -কর্মচারী আছেন। তাঁদেরকে ঠিকমত ফিডব্যাক দিলে অনেক সফলতার দুয়ার তারাই খুলে দিতে পারেন এবং ইতোমধ্যে দিয়েছেনও। আমার দায়িত্ব অল্প সময়ে হলেও যারা নগরকে পরিচ্ছন্ন করেছেন যা দৃশ্যমান। এটাই তার ভাল প্রমান। তাদের স্যালুট জানাই।

তিনি আরো বলেন, চসিকের শিক্ষাখাত নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ভূর্তুকির ভার কমাতে হবে। প্রাইমারী ও মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা খাত রেখে বাড়তি বোঝা ছেড়ে দেয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন চাকরি করে অবসর নেয়ার পর আনুতোষিক না পাওয়া দু:খ জনক। আমি দায়িত্ব নিয়ে ইতোমধ্যে কিছু আনুতোষিক পাওনা পরিশোধ করেছি। আশাকরি এধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি জ্যোৎস্না উৎসবের মত একটি ব্যাতিক্রম অনুষ্ঠান নগরবাসীর সামনে উপস্থাপন করে দেশে বিদেশে অনেকের সাড়া এবং উৎসাহ পেয়েছেন বলে মত ব্যক্ত করেন।

তিনি আরো জানান, আমি প্রশাসকের দায়িত্বে না থাকলেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আমার দুয়ার সব সময় খোলা থাকবে।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হুমায়ন কবির চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মীর্জা ফজলুল কাদের, কুলগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক খান, কাট্টলী স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, সার্কেল-৫ এর টিও এ কে এম সালাউদ্দীন, ইউএনডিপির টাউন ম্যানেজার মো. সরোয়ার হোসেন খান, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, চসিক সিবিএ সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, খুব কম সময়ে বিদায়ী প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এমন কিছু কাজ করেছেন যাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্ম ও প্রাণের সঞ্জীবনী শক্তি পেয়েছে। এই শক্তিকে আমরা ধারন করতে চাই। আমাদের উচিত ভাল কাজকে গ্রহণ করা এবং মন্দকে প্রত্যাখান করা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *