জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকারের হীনমন্যতার বহি:প্রকাশ: ডা.শাহাদাত

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা, শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশ ও শহীদ জিয়া একে অপরের সম্পুরক। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। জিয়াকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়। মেজর জিয়া ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক, রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সেনাপ্রধান এবং বাংলাদেশের একজন সফল রাষ্টনায়ক। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য স্বাধীনতা উত্তর শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার “বীর উত্তম” খেতাবে ভুষিত করেন শহীদ জিয়াকে। জিয়াউর রহমানকে যে খেতাব দেওয়া হয় তা বাতিলের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটা নিকৃষ্টতম সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন ও হীনমন্যতার বহিঃপ্রকাশ। আল জাজিরার প্রতিবেদনে সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতির ফাঁস হওয়া চিত্র ধামাচাপা দিতেই মুলত শহীদ জিয়ার স্বাধীনতা খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

তিনি আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত ও তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফরমায়েশী সাজা প্রদানের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়া সংকট মূহুর্তে শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, সেক্টর কমান্ডার হিসেবে রনাঙ্গনে যুদ্ধে নেতৃত্বও দেন। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করা হলে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অস্বীকার করা হবে। এটাই সত্য ও ইতিহাস। ইতিহাস তার নিজস্ব গতিতে চলে। প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষের রাজনীতি এবং আদালতের রায় দিয়ে ইতিহাস বদলানো যায় না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সাথে শহীদ জিয়ার নাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সুতরাং কখনোই স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ থেকে জিয়াকে বিচ্ছেদ করা যাবে না।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে এদেশের মানুষের আবেগ অনুভূতি জড়িত। স্বীকৃত সত্য হচ্ছে শহীদ জিয়া মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ও রনাঙ্গনের বীর যোদ্ধা। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই। শহীদ জিয়া যে স্বাধীনতার ঘোষনা করেছিল তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও শিকার করে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর যারা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা মূলত স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে। তাই জিয়াউর রহমানের খেতাব সরকার বাতিল বা যাই করুক না কেনো তিনি এদেশের মানুষের বুকের মধ্যে রয়েছেন। বাংলাদশের ইতিহাসও এটাই বলে। জিয়াউর রহমানের স্বাথীনতার স্বীকৃতি নিয়ে কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলে চট্টগ্রামের মাঠি থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদেরকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দিয়েছেন। শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিলের সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের রাজনীতিকে আরও দুর্বিসহ ও সংকটময় করে তুলবে। তবে দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে প্রতিহিংসার যে মনোভাব জায়গা করে নিয়েছে, এর সূচনা পরিষ্কারভাবেই ঘটিয়েছে স্বাধীনতার পর বিরোধী মত দমন ও একদলীয় শাসন কায়েমের মাধ্যমে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইস্কান্দর মির্জা, আব্দুল মান্নান, সদস্য এরশাদ উল্লাহ, সামশুল আলম, জয়নাল আবেদিন জিয়া, মো. আলী, এ্যাড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাসেম, সামশুল হক, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম মনি, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, থানা, বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মোশারফ হোসেন ডেপটি, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী হানিফ সও, সালাহ উদ্দিন, ডা. নুরুল আফসার, আব্দুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, মো. শাহাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন জিয়া, নুর হোসেন, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আব্দুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, নগর অঙ্গ সংগঠনের সম্পাদকবৃন্দ জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, মনিরুজ্জামান টিটু, মামুনুর রশীদ শিপন, সাইফুল আলম, শরীফুল ইসলাম তুহিন, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ নুর আহমদ গুড্ডু, এস এম রব, ফজলুল হক সুমন, মিয়া মো. হারুণ, নাসিম চৌধুরী, আবু সুফিয়ান, আসাদুজ্জামান দিদার, এমদাদুল হক বাদশা, জিয়াউর রহমান জিয়া, মো. হারুন, মাঈনুদ্দিন রাসেদ, মোহাম্মদ রেজা, হাবিবুর রহমান মাসুম, হুমায়ুন কবির, এরশাদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন রাসেদ, জমির উদ্দিন নাহিদ, আসিফ চৌধুরী লিমন, সালাউদ্দিন সাহেদ, সামিয়াত আমিন জিসান প্রমুখ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *