পরিবেশ পদক পাচ্ছে ৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং পরিবেশগত শিক্ষা ও প্রচার এই তিন ক্যাগরিতে জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২০ পাচ্ছে তিন ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠান।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২০ মনোনয়ন চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় ৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পদকের জন্য যে ৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মনোনীত হলেন- পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত পর্যায়ে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) সাভারের প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কনকর্ড রেডিমিক্স অ্যান্ড কনক্রিট প্রোডাক্টস লিমিটেডে ও কনকর্ড প্রি-স্ট্রেসড কনক্রিটি অ্যান্ড ব্লক প্লান্ট লিমিটেড কনকর্ড সেন্টার।

এছাড়া পরিবেশগত শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত পর্যায়ে খ্যাতিমান জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. সালীমুল হক এবং প্রাতিষ্ঠিানিক পর্যায়ের এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। এছাড়া পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত পর্যায়ে ড. জহুরুল করিম এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।

সভায় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং কমিটর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ মানুষ যেখানে সাময়িক ব্যক্তিস্বার্থ নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করে চলেছে, সেখানে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পরিবেশ ও বৃক্ষের কল্যাণে প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছেন। তাদের একজন ওয়াহিদ আলী সরদার। যিনি গাছের প্রতি দয়া করে হাজার হাজার গাছ থেকে পেরেক ওঠানোর কাজ করছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, নীরবে কাজ করে যাওয়া এসব মানুষকে উৎসাহ দেয়ার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

উল্লেখ্য, জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত প্রতিটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ২২ ক্যারেট মানের ২ তোলা ওজনের স্বণের বাজার মূল্য ও অতিরিক্ত আরও পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *