চট্টগ্রামে স্ক্রু ড্রাইভার পেটে ঢুকিয়ে যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীর আমবাগান এলাকায় পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নাহিদ (১৯) নামের এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে খুলশী থানা পুলিশ।

আজ ৪ নভেম্বর সোমবার সকালে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাজধানী ঢাকার মালিবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আরো খবর : পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে হত্যা

গ্রেফতার যুবকের নাম মো. সোহেল (২২)। পেশায় অটোরিকশার মিস্ত্রি সোহেলের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়। বর্তমানে সে নগরীর আমবাগান এলাকায় বসবাস করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, গতকাল রবিবার পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নাহিদ (১৯) নামের এক যুবককে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন সোহেল। স্থানীয় কাউন্সিলরও সিসি টিভি ফুটেজ দেখে প্রধান সন্দেভাজন খুনী হিসেবে সোহেলকে শনাক্ত করে।

ফলে নির্দ্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সোহেলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রবিবার রাতেই খুলশী থানা পুলিশের একটি টিম ঢাকায় চলে যায়। সকালে ঢাকার মালিবাগের রাস্তা থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। তাকে চট্টগ্রামে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানা যাবে বললেন ওসি প্রনব চৌধুরী।

এর আগে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের খুলশী থানার আমবাগান ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নাহিদ (১৯) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়। নিহত নাহিদ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্রিল ওয়েলডিংয়ের কাজ করতেন। তার বাড়ি সিলেট। থাকতেন আমবাগান এলাকায়। তার বাবা আবদুল্লাহ কাউন্সিলর অফিসের পাশে জাবেদ গ্যারেজে কাজ করেন।

হত্যার ঘটনার পর স্থানীয় কাউন্সিলর হিরণ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভিডিও ফুটেজে দেখেছি, নাহিদসহ কয়েকজন তরুণ-যুবক সোহেলকে মারতে গিয়েছিল। এসময় সোহেলের হাতে স্ক্রু ড্রাইভার ছিল। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে নাহিদের পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে দেয় সোহেল। রক্তাক্ত অবস্থায় নাহিদকে কয়েকজন ধরাধরি করে নিয়ে যেতে দেখেছি ফুটেজে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে গুরুতর আহত অবস্থায় নাহিদকে স্থানীয় মা ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকার বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে মো. সোহেল (২২) পূর্ব বিরোধের জেরে নাহিদকে খুন করে পালিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর থেকে সোহেলকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানে নামে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *