রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : রাউজানের পূর্বগুজরা ইউনিয়নের প্রবাস ফেরত যুবক মোঃ জয়নাল আবেদীন নিজ এলাকায় একটি মুদি দোকান খোলেন। দোকান থেকে উপার্জিত অর্থে সংসারের হাল ধরেছিল সে। কিন্তু করোনার থাবায় প্রভাব পড়ে তার ব্যাবসায়। এই নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ ছিলনা তার। এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের বিগত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর এক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তার বেঁচে থাকার অবলম্বন মুদি দোকানটা সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
দোকান পুড়ে যাওয়ায় পর তার অবস্থার কথা বিবেচনা করে তার পাশে সহযোগিতার হাত বাড়ান রাউজানের সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী।
এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে পুর্ণবাসন প্রক্রিয়ার আওতায় ফারাজ করিম চৌধুরীর কাছ থেকে গত ২ অক্টোবর
দোকান উপহার পেয়ে হতাশা ভুলে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখে জয়নাল। পরে এনজিও সংস্থা পদক্ষেপ, প্রত্যাশা সহ আরো কিছু সংসবথা থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়ে দোকানে মালামাল তোলেন। বেচা-বিক্রিও মোটামুটি ভালোই হচ্ছিল। কিন্তু পাঁচমাসের ব্যবধানে ১৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবা দিবাগত রাত তিনটার দিকে আবারো অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দোকানের মালামাল পুড়ে যায়। মাত্র কয়েকমাসের ব্যবধানে দোকানে আগুণ লাগার ঘটনায় পরিবারের ভরণ-পোষণ কিভাবে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তার।
১০নম্বর পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের আয়েশা বিবির বাড়ির মৃত মুন্সি মিয়ার পুত্র মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রথমবার দোকান পুড়ে যাওয়ায় চোখে-মুখে অন্ধকার দেখেছিলাম। রাউজানের সাংসদপুত্র আমাকে দোকান উপহার দিয়ে বেঁচে থাকার একটা অবলম্বন করে দেন। দোকানে বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে যখনি ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছি আবার দোকানটাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই টাকা ঋণের বোঝা তার উপর সংসারের ভরণ-পোষণ কিভাবে চালাবো?
জয়নাল বলেন, কেউ শত্রুতাবশত দোকানে আগুণ দিয়েছে। আমি জীবনে কোনোদিন কারো ক্ষতি করিনি। কেন বারবার আমার উপর এমনটা হচ্ছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অগ্নিকান্ডের পর সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের কর্মকর্তাগণ ফারাজ করিমের নির্দেশে জয়নালের দোকানে এসে তার হাতে কিছু অর্থ তুলে আবারো সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামীলীগ নেতা রোসাঙ্গীর আলম ও ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জমির উদ্দিন বাবুল
পুড়ে যাওয়া দোকান পরিদর্শন করে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
জয়নাল বলেন, কেউ না কেউ আমার দোকানে আগুণ দিয়েছে। আমি চাই তাদের চিহিৃত করে শাস্তি দেওয়া হোক যাতে আগুণের সাথে কারো স্বপ্ন পুড়ে ছাড়খার না হয়।
২৪ ঘণ্টা/নেজাম
Leave a Reply