রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : পার্বত্য জনপদ রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালীর একটি পাহাড় থেকে শাহানা আকতার (২৮) নামে রাউজানের এক গৃহবধূকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। শাহানা আকতার রাউজান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছত্রপাড়া গ্রামের মান্নান উল্লাহ সিকদার বাড়ির হাছি মিয়া সিকদারের মেয়েও নাতোয়ান বাগিছা এলাকার শমসেন নগরের গুচ্ছ গ্রামের মো. সাঈদুল আলমের স্ত্রী।
কাউখালী থানা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ শাহানা আকতারের সঙ্গে প্রতিবেশী
সুজন বড়ুয়ার স্ত্রীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে দুজন দুজনকে বোন ডাকাডাকি শুরু করে। পরে স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের সূত্র ধরে শাহানা আকতারের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নেন প্রতিবেশী সুজন বড়ুয়া । পরে পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়।
নিহতের পরিবারের দাবি, গত রবিবার রাতে শাহানা তার শ্বশুর বাড়িতেই ছিলেন। পরে কোনো এক সময় তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। গত সোমবার রাত ৯টার দিকে রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার মনাইর টেকনামক এলাকার দুই উপজাতি ছেলে শাহানা আকতারকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে অাঘাতের চিহৃ দেখতে পান তারা। মুমূর্ষু অবস্থায় শাহানা আকতার উপজাতি যুবকদেরকে তার বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির ঠিকানা দিলে খবর পেয়ে পুলিশ ও তার পরিবার ঘটনাস্থল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই শাহানা আকতার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ উল্লাহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মো. সাঈদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে ।’
রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুণ বলেন, ‘ গৃহবধুর মৃত্যুর বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তবে এই কিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
২৪ ঘণ্টা/নেজাম
Leave a Reply