লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : দেশে দ্বিতীয় দফায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুেুর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বাড়ছে। করোনার এ করুণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে সারা দেশে। আর এ লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
তারই ধারাবাহিকতায় লকডাউনের প্রথম দিনে বুধবার (১৪ এপ্রিল) লোহাগাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এবং বাইরে অযথা ঘুরাফেরা থেকে সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরাতে দিনব্যাপী মাইকিং, টহল এবং অভিযান পরিচালনা করে মাঠে কঠোর অবস্থানে ছিলেন উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশ।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান হাবীব জিতুর নেতৃত্বে উপজেলা সদর বটতলী মোটর ষ্টেশনে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৮ মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে দোকান-পাট পরিচালনা এবং মুখে মাস্কবিহীন চলাফেরার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব জরিমানা অাদায় করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আহসান হাবীব জিতু, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) কবির আহমেদ, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাকারিয়া রহমান জিকু, লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ, পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মো: রাশেদুল ইসলাম ও উপ-পরিদর্শক পার্থ সারথি হাওলাদারসহ পুলিশ ফোর্স।
এ সময় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ মোঃ জাকারিয়া রহমান জিকু জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে বাংলাদেশ পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। লকডাউনের পুরোপুরি বাস্তবায়নে আমরা পুলিশ বিভাগ নিরলসভাবে মাঠে কাজ করছি। লকডাউন অমান্য করে কোন অবস্থাতেই দোকান-পাট পরিচালনা করা যাবেনা। বাজার কিংবা পথে-ঘাটে অযথা ঘুরাঘুরি করলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আহসান হাবীব জিতু জানান, উপজেলার সর্বত্রই লকডাউন বাস্তবায়নে সরকারী নির্দেশনায় আমরা উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কোন কাজ ব্যতিত যত্রতত্র ঘুরাফেরা করা যাবেনা। সবাইকে মুখে মাস্ক পরিধান করতে হবে। সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোন দোকান ও মার্কেট খোলা পেলেই তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, আজ বুধবার লকডাউনের প্রথম দিনেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে দোকান পরিচালনা এবং মাস্কবিহীন চলাফেরার কারণে ১৮টি মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
২৪ ঘণ্টা/এ. কে. আজাদ
Leave a Reply