সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকা থেকে সোনিয়া আকতার (২৬) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকালে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কেশবপুর গ্রামের জহুর আলম মেম্বার এর ভাড়া ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ পোষ্টমোটমের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ধারণা করা হচ্ছে ৮ জুন মঙ্গলবার রাতের কোন এক সময় সোনিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী। সোনিয়া একই এলাকার জাহাজীওয়ালার বাড়ির সাবিউল হকের কন্যা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বালিয়া ডাঙা গ্রামের আবুজার গিফারী’র স্ত্রী।
জানা যায়, স্বামী গিফারী তার স্ত্রী সোনিয়াকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেযে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড) সার্কেল এএসপি আশরাফুল করিম, ওসি আবুল কালাম আজাদ ও ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক।
জানা যায়, ৮মাস আগে প্রেম করে বিয়ে হয় দুইজনের। তারা একমাস ধরে ইউপি সদস্য জহুরুল আলমের ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। সকালে তালাবদ্ধ ঘর থেকে দুগর্ন্ধ বের হলে জহুরুল আলম সোনিয়া আক্তারের পরিবারকে বিষয়টি জানালে তারা এসে বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘরের তালা ভেঙ্গে দেখতে পান অর্ধগলিত লাশ ফ্লোরে পড়ে আছে।
ইউপি সদস্য জহিরুল আলম বলেন, সকালে আমার ভাড়া বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে আমি বিষয়টি পুলিশকে জানাই।
সোনিয়া আকতারের পিতা সাবিউল আলম বলেন, পেশায় রাজমিস্ত্রী গিফারীর সাথে আটমাস আগে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। গত ৮ জুন তারা স্বামী-স্ত্রী দুইজনই আমার বাড়িতে গিয়ে মেয়ের ( সোনিয়া) অসুস্থতার জন্য মেডিকেলে ভর্তি হবে বলে ১০ হাজার টাকা নিয়ে আসে। তারপর থেকে তাদের সাথে আর কথা হয়নি। আজ সকালে জানতে পারি স্বামী তাকে হত্যা করে ঘরের বাহিরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে কখনও কোন প্রকার ঝাগড়া বিবাদ হতেও দেখিনি। ধারনা করা হচ্ছে সে টাকার লোভে আমার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ্যাবাপরে এএসপি সীতাকুণ্ড সার্কেল আশরাফুল করিম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজার তালা ভেঙে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে তাকে কিভাবে হত্যা করেছে। এব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন। স্বামী গিফারী পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি।
২৪ ঘণ্টা/দুলু
Leave a Reply