নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম):
বেলা দেড়টা। বরাযাত্রী আর কনেপক্ষের অতিথিদের উপস্থিতিতে সোমবার (২৮ জুন) রাউজানের নোয়াপাড়াস্থ কর্ণফুলি কমিউনিটি সেন্টারে তখন রীতিমতো উৎসব চলছে। করোনাকালীন সময়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে সাত-আট পদের আইটেমে খাওয়ার টেবিলে ভোজে ব্যস্ত অতিথিরা।
কেউ খাচ্ছেন, কেউ বা আবার উপহার বুঝিয়ে দিয়ে পান চিবুতে চিবুতে খোশগল্পে মত্ত। এমন সময়ে কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশ ফোর্স নিয়ে হাজির হন চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার-এএসপি (রাউজান রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। ব্যস্। মুহুর্তেই উৎসব প্রাঙ্গনে নেমে আসলো পিনপতন নীরবতা। পুলিশ দেখে ছোটাছুটি শুরু করে আগত অতিথিরা। কেউ খাবার টেবিল থেকে অর্ধ খাওয়া অবস্থায় ভোঁ দৌঁড়ে ছুটতে থাকে দিগ্বিদিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এদিন রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মৌলানা দরবেশ আলীর বাড়ির মোঃ আব্দুল জব্বারের কনিষ্ঠ পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে নোয়পাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামের জামাল উদ্দিন তালুকদারের কন্যা রুমি আকতারের বিয়ের অনুষ্টান ছিল। বর-কনে পক্ষের কয়েক শতাধিক মেহমানের উপস্থিতি ছিল ক্লাবে। খবর পেয়ে সহকারি পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে বিয়ের আয়োজন পণ্ড করে উভর পরিবার থেকে মুচলেকা আদায় করেন।
এ প্রসঙ্গে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, করোনার মহামারিতে সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বিয়ের আয়োজন হচ্ছে এই সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও কনে পক্ষের কয়েক শতাধিক মেহমান দৌঁড়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে। পরে এই ধরনের কাজ আর করবেনা মর্মে দুই পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা নিই।
২৪ঘণ্টা /রানা
Leave a Reply