চট্টগ্রামে উবার চালককে নির্যাতনের পর সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়েছে সংঘবদ্ধ চক্র

চট্টগ্রামে যাত্রীবেশে উবার চালককে আটকে রেখে নির্যাতনের পর সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়েছে সঘবদ্ধ একটি চক্র।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকালে নগরীর রৌফাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বায়েজিদ থানা পুলিশ হাসান নামে একজনকে আটক করেছে বলে জানান বায়েজিদ থানার ওসি খন্দকার আতাউর রহমান।

ঘটনার শিকার উবার চালক খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার বিকালে তিনি তার প্রাইভেট গাড়ী (উবার) নিয়ে প্যাসেঞ্জারের আশায় নগরীর জিইসি মোড়ে অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় এক নারী প্যাসেন্জার হিসাবে নগরীর বায়েজিদ রৌফাবাদ যাওয়ার জন্য ১০০ টাকা ভাড়ায় তার উবারে উঠে। রৌফাবাদে পৌঁছার পর ঐ নারী গাড়ী থেকে নেমে কয়েকজন যুবকের সাথে কথা বলে। এক পর্যায়ে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা ৭/৮ জনের একদল যুবক উবার চালক খোরশেদে সামনে আসে। এসময় তারা খোরশেদকে বলে তুমি এই মহিলাকে খারাপ উদ্দেশ্যে এখানে নিয়ে এসেছ। এ কথা বলেই কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই সবাই মিলে আমাকে মারতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সবাই টেনে হিঁচড়ে  একটি ঘরে নিয়ে মারতে থাকে। এসময় তারা জোর করে পরনের কাপড় চোপড় খুলে ভিডিও করতে থাকে । এসময় তারা ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে গাড়ী ক্রয়ের জন্য থাকা নগদ চার লাখ টাকা,ব্যাংকের এটিএম কার্ড,মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয়।

খোরশেদ জানান,এটিএম কার্ড নিয়ে ঐ চক্রের কয়েকজন সদস্য এটিএম বুথে গিয়ে টাকা তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু পিনকোড ভুল হওয়ায় কার্ড আটকে যায়। পরে তারা তাকে আবারো মারধর করতে থাকে। এর পর খোরশেদের আত্মীয় স্বজনকে ফোন করে টাকা দাবী করে। সর্বশেষ রাত সাড়ে ১০ টার দিকে খোরশেদের ব্যবহৃত মোবাইল রেখে দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এবং বলে ৫০ হাজার টাকা ঐ মোবাইলের বিকাশে পাঠাতে।
ছাড়া পাওয়ার পর খোরশেদ বায়েজিদ থানায় এসে বিষয়টি ওসিকে জানানোর পর তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে হাসান নামে একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

স্থানীয় সুত্র জানায়, রৌফাবাদ এলাকায় বড় ভাই সাগরের ছত্র ছায়ায় থেকে এ চক্রটি ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড করে থাকে। এর আগে রৌফাবাদ সরকারী শিশু পরিবারে মেয়েদের উত্যক্ত করার অভিযোগে সাগরসহ কয়েকজন নামের থানায় জিডি করে শিশু পরিবার কর্তৃপক্ষ।

এদিকে এ ঘটনায় বুধবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ভিকটিম খোরশেদ।

বায়েজিদ থানার ওসি খন্দকার আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় হাসান নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে। বাকী অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *