তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পূর্বে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ডেকে নিয়ে মারধর করা করা হয়। মিডলইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানানো হয়।
সংবাদমাধ্যমটি মারধরের পর প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশি কতটা আহত হয়েছেন সেটা যাচাই করতে না পারলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৭ বছর বয়সী ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশি বেশ আহত হয়েছেন। তিনি মুখে আঘাত পেয়েছেন। এ কারণে ঘটনার পর তিনি আর জনসম্মুখে বের হননি।
গত রোববার তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ডাকেন। সেখানে তিনি মেশিশিকে পদত্যাগ করতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে রাজি না হলে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় প্রেসিডেন্ট প্যালেসে তিউনিসিয়ার বাইরের দেশের নাগরিকও ছিলেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট প্যালেসে মিশরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ছিলেন। তারা প্রেসিডেন্টকে অভ্যুত্থানের বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ বা মারধরের সময় মিশরের কর্মকর্তারা কী ধরনের ভূমিকা রেখেছে সেটা জানা যায়নি।
উল্লেখ, প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে রোববার রাতেই বরখাস্ত করে পার্লামেন্ট স্থগিত করেন। সংসদ স্থগিতের পর মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি প্রেসিডেন্টকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অন্যদিকে, এ ঘটনার পর থেকে তিউনিসিয়ায় চরম রাজনৈতিক অসন্তোষ বিরাজ করছে। পার্লামেন্ট স্থগিত করার পর স্পিকার রাশেদ ঘানৌচিরের ডাকে রাস্তায় নেমে আসেন সরকার-সমর্থকেরা। এছাড়া প্রেসিডেন্ট সাঈদ বিরোধীরা এই ঘটনাকে সেনা অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
Leave a Reply