আপনি যখন সৎমা

আপনি আপনার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী। অর্থাৎ নতুন সত্তা। তাই নতুন দায়িত্বের সাথে প্রয়োজন স্বামীর আগের স্ত্রীর সন্তানের সঙ্গে পারফেক্ট বন্ডিং গড়ে তোলা।

আপনি যেমন এসেই নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে বা গুছিয়ে নিতে পারছেন না, একইভাবে ওর পক্ষেও একটু সমস্যা হবে আপনার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে। তবে আপনার ব্যবহারের মাধ্যমে এ গ্যাপটা ধীরে ধীরে শূন্য হয়ে যাবে।

এজন্য প্রয়োজন আপনার আন্তরিক মনোভাব। সে যাতে কখনো আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে না ভোগে সেটা আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। যদিও এটা খুব সহজ কাজ নয়। আসলে অনেক বাচ্চাই নতুন মায়ের সঙ্গে ইমোশনাল বন্ডিং গড়ে তুলতে পারে না। তবে এ শূন্যস্থান ভরাট করার দায়িত্ব কিন্তু আপনাকেই পালন করতে হবে। ও যাতে একাকিত্বে না ভোগে সেজন্য ওর সাথে খোলাখুলি মিশুন। স্বামীর আগের স্ত্রীর সন্তান বলে ওকে অবহেলা করবেন না বা আলাদা ভাববেন না।

ওকে স্কুলে ড্রপ করে দিন, টিফিন বানিয়ে দিন, সম্ভব হলে বিকালে পার্কে বেড়াতে নিয়ে যান। এরকম ছোটখাটো বিষয়গুলোর মাধ্যমে ওর কমফোর্ট লেভেলটা বাড়িয়ে তুলুন। তাহলে ও আপনার সঙ্গে নিজের মনের কথা শেয়ার করতে দ্বিধা করবে না। ওর বন্ধু হয়ে উঠুন। তাহলে ওর মধ্যে চাপা ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটি কাজ করবে না।

আসলে একজন শিশু তার মায়ের কাছ থেকে নির্ভরতার যে আশ্বাস পায়, সেটা সাধারণত অন্য কারও কাছ থেকে পাওয়ার আশা করে না। তাই আপনার প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হলো ওকে নিজের মায়ের অভাব বুঝতে না দেওয়া। আর বয়ঃসন্ধির সময়তো এ ধরনের সাপোর্ট সিস্টেম খুবই জরুরি।

তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে কখনই তার জন্য ওভার ডমিনেটিং হয়ে ওঠা যাবে না। সৎছেলে বা মেয়ের ওপর যদি অতিরিক্ত নজরদারি করেন, তাহলে পরিণামে আপনারই সমস্যা বেশি হবে।

এছাড়া ওভার প্রোটেক্টিভও হওয়া যাবে না। তাহলে ও আপনার সাথে খোলাখুশি মিশতে পারবে না। আর বয়সের তফাত কম থাকলে বন্ধু হওয়াটাও অনেক সহজ। এভাবেই সৎসন্তানের সৎমা নয় ভালো বন্ধু হয়ে উঠুন।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *