গাজরের জুস খেলে যেসব উপকার হয়

গাজর খেতে ভালোবাসেন? প্রতিদিনের সালাদে গাজর থাকে; নুডলস, পাস্তা, কারিতেও গাজরের উপস্থিতি। আবার গাজরের পায়েস কিংবা হালুয়া থেকে মুখ ফেরানো দায়। গাজর তো অনেকভাবে খেয়ে থাকেন। এবার থেকে এর সঙ্গে যোগ করুন গাজরের জুসও। কারণ সুন্দর রং ও স্বাদের এই সবজির আছে অনেক গুণ। প্রতিদিন সকালে একগ্লাস গাজরের রস খেলে মিলবে অনেক উপকার-

শরীরে ভিটামিন পৌঁছে দেয়

গাজর ভিটামিন এ এর অন্যতম উৎস। এতে থাকে বিটা ক্যারোটিন। যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি চোখের অন্যান্য সমস্যাও কমিয়ে আনে। গাজরের জুসের পাশাপাশি কাঁচা গাজরও খেতে পারেন। অনেকের ক্ষেত্রে কাঁচা সবজি ঠিকভাবে হজম হয় না। তারা সামান্য ভাপিয়ে নিয়ে খেতে পারেন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহায়ক

ক্যারটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে গাজরে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। সেইসঙ্গে এটি রক্ত শুদ্ধিকরণেও সাহায্য করে। অনেকের মুখে নানা ধরনের দাগ-ছোপ পড়ে থাকে। এ ধরনের দাগ-ছোপ দূর করার ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে গাজরের জুস।

ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক

খাবার হজমের পর কিছু উচ্ছিষ্ট থেকে যায় আমাদের শরাীরে। একে বলা হয় ফ্রি র‍্যাডিকেলস বা মৌল। আমাদের শরীরের কিছু কোষ নষ্ট করে এই ফ্রি র‍্যাডিকেলস। এ ধরনের মৌলের বিরুদ্ধে লড়াই করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার। ফলে শরীরে ক্যানসারের কোষ উৎপাদন কম হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে ৩৩ শতাংশ ভিটামিন ‘এ’, ৯ শতাংশ ভিটামিন ‘সি’ এবং ৫ শতাংশ ভিটামিন ‘বি-৬’ পাওয়া যায়। এসব ভিটামিন এক হয়ে লড়াই করে ফ্রি র‍্যাডিকেলসের বিরুদ্ধে।

বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

প্রতিদিন সকালে একগ্লাস গাজরের জুস আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে অনেকটাই। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন জীবাণু, ভাইরাস ও বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি মিলবে গাজরের জুস খেলে। যা হাড় গঠন, স্নায়ুর নানা সমস্যা, মস্তিষ্কের সমস্যা দূর করে থাকে।

শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

রক্তে শর্করা ও খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গাজরের জুস খেলে তা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে থাকা পটাশিয়ামই এর মূল কারণ। পাশাপাশি এই সবজিতে সুগার ও ক্যালরি থাকে খুবই কম। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। সহজে ফ্যাট বার্ন হয় বলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যায়। প্রতিদিন সকালে শরীরচর্চার পর গাজরের জুস খেলে উপকার পাবেন।

গাজরের জুস তৈরি করবেন যেভাবে

প্রথমে গাজর ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এরপর অল্প ভাপিয়ে নিন। এবার ব্লেন্ডারে গাজরের টুকরো, পরিমাণমতো লবণ, সামান্য চিনি, একচিা চামচ লেবুর রস, ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। জুস তৈরি করে ফেলে রাখবেন না। আধাঘণ্টার মধ্যে খেয়ে নিন।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *