ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল : ৬ নম্বর সংকেতে বন্দরে এলার্ট-৩ জারি, বন্ধ বহির্নোঙরে পণ্য খালাস

২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ প্রবল শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে। এর শক্তি ক্রমাগত বাড়ছেই। আগামীকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল কিংবা দুপুরের দিকে বাংলাদেশে আঘাত আনতে পারে ‘বুলবুল’।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানার আশঙ্কায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এর প্রভাবে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একারণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণভাবে ‘অ্যালার্ট-৩ জারি’ করেছে।

ফলে বহির্নোঙরে (সাগরে) বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ থাকার পাশাপাশি বন্দরের মূল জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র শক্তি ক্রমাগত বাড়ছে। আবহাওয়া অফিস থেকেও সতর্ক সংকেত বাড়ানো হচ্ছে। এজন্য শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ রাখা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভায় প্রথমে অ্যালার্ট-২ জারি করেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ। বিকেল পর্যন্ত বন্দরের কাজ স্বাভাবিক চললেও সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৬ নম্বর সংকেত জারির পর কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করেছে।

জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলো ‘অ্যালার্ট-৩’ জারির সঙ্গে সঙ্গে বহির্নোঙরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সময় সব হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট, গ্যান্ট্রি ক্রেন টার্মিনাল বা শেডে নিরাপদ রেখে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বন্দরের করণীয় নির্ধারণে বিকেল ৫টা থেকে চলছে জরুরী সভা। আজ বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে ১৭টি জাহাজ অবস্থান করছে এবং এসব জাহাজে মালামাল উঠানামা করছে। তবে সন্থ্যার পর ৬ নম্বর সর্তকতা জারীর পর বন্দর কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

জানা গেছে,ঘূর্ণিঝড় “বুলবুল” মোকাবেলায় বন্দর জেলা প্রশাসন ও সিএমপি পুলিশের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে একাধিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এ মূহুর্তে বন্দর বহিনোঙরে অবস্থান করছে পণ্যবাহি ৫৫টি জাহাজ। এসব জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রামে সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃস্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও সাগর ক্রমান্বয়ে উত্থাল হচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াছ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোবাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। উপকুলীয় এলাকায় সকল আশ্রয় কেন্দ্র (সাইক্লোন সেন্টার) গুলো খুলে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *