সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বাদলের জানাজা, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং জাতীয় সংসদ সদস্য মইনউদ্দীন খান বাদলের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে এখানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) একাংশের নেতা বাদলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণের পরে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের সিনিয়র নেতা এবং সংসদ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বাদলের কফিনে অপর একটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে তাঁর সামরিক সচিব বাদলের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী এবং ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বি চৌধুরী বাদলের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে বাদলের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

১৪ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ, জেএসডি, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বাদলের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরআগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বাদলের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ মো: আতিউর রহমান আতিক, মো: নাসিম, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো: শাহাবুদ্দিন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাহবুব উল আলম হানিফ, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, এ বি তাজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নজরুল ইসলাম বাবু,শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং শিরীন আখতার, দলীয় নেতারা, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।

এসময় পুলিশের একটি চৌকষদল মরহুমের প্রতি রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

পরে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদ ভবনের পেশ ইমাম।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-র একাংশের কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দীন খান বাদল বৃহস্পতিবার ভারতের বাঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। সংসদে অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে তিনি খ্যাতি পান।

ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা বাদল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বাঙালিদের ওপর আক্রমণের জন্য পাকিস্তান থেকে আনা অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে খালাসের সময় প্রতিরোধের অন্যতম নেতৃত্বদাতা ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাদল সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল গঠনেও বাদলের ভূমিকা ছিল।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *