পীরে ত্বরিকত, মুর্শিদে বরহক্ব,আওলাদে রাসুল (দঃ), আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা (মাঃজিঃআঃ) বলেছেন, ঐতিহাসিক কারবালার ঘটনা চিরকাল বিশ্বের নির্যাতিত, অবহেলিত এবং বঞ্চিত মানুষের প্রতি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা জোগাবে।
এভাবে পৃথিবীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে আশুরার দিবসে হজরত ইমাম হোসাইন (রা.)-এর শাহাদত এক অনন্য, অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। ইসলামের কালজয়ী আদর্শকে সমুন্নত রাখার জন্যই কারবালায় রাসুল (দ)বংশের আত্মত্যাগ হয়েছিল। মূলত আশুরার দিনে মুসলমানরা ন্যায় প্রতিষ্ঠাকল্পে আত্মত্যাগের এক অনুপম আদর্শ শিক্ষা গ্রহণ করেন। ব্যক্তিস্বার্থ, ক্ষমতালিপ্সা ও মসনদের লোভ-মোহের ঊর্ধ্বে উঠে হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) বুকের তাজা রক্ত প্রবাহিত করে ইসলামের শাশ্বত নীতি ও আদর্শকে সমুন্নত করলেন। কারবালার রক্তাক্ত সিঁড়ি বেয়েই ইসলামের পুনরুজ্জীবন ঘটে। কারবালা ট্র্যাজেডির বদৌলতেই ইসলাম স্বমহিমায় পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। সত্যের জন্য শাহাদতবরণের এ অনন্য দৃষ্টান্ত ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাহাত্ম্য তুলে ধরার মধ্যেই নিহিত রয়েছে ১০ মহররমের ঐতিহাসিক তাৎপর্য।
তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে ফটিকছড়িস্থ তেলপারই সৈয়দ বাড়ী দরবার শরীফের শোহদায়ে কারবালার স্মরণে নুরানী মাহফিলে প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখছিলেন।
শাহজাদা সৈয়দ তাওছিফুল হুদা (মাঃজিঃআঃ)র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন নাঙ্গলমোড়া শামসুল উলুম ফাযিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মুফতি জসিম উদ্দিন আল কাদেরী।
বক্তব্য রাখেন হযরতুলহাজ্ব আল্লামা আলী শাহ নেছারী, মাওলানা মোহাম্মদ ওমর ফারুক হাকিমী,
আলহাজ্ব আবু আহমদ সওদাগর, জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
আলহাজ্ব নুরুল আলম মোল্লা, আবু সওদাগর, আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন, নুরুল হাকিম, মুহাম্মদ ইউসুফ বাবুল, জামাল উদ্দিন সওদাগর, শাহ জালাল প্রমুখ।
Leave a Reply