আফগানিস্তানের জন্য ৬০৬ মিলিয়ন ডলার চায় জাতিসংঘ

আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর মানবিক সংকট মোকাবিলায় ৬০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ উপলক্ষে আজ সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সাহায্য সম্মেলন হওয়ার কথা কথা রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

এর আগে আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর সেখানে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছিল জাতিসংঘ।

গত ১৫ আগস্ট তালেবানের আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের আগপর্যন্ত আফগানিস্তানের অর্ধেক জনগোষ্ঠী, অর্থাৎ এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল ছিল। খরা, খাদ্য ও নগদ অর্থ সংকটে এবং রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট অস্থিরতায় এই নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘসহ অন্যান্য সাহায্য সংস্থাগুলো।

পশ্চিমা মদদপুষ্ট সরকারের পতনে এবং তালেবানের বিজয়ের ফলে আফগানিস্তানে শত শত কোটি ডলারের বৈদেশিক সাহায্য বন্ধ হয়ে গেছে। দেশটিতে জাতিসংঘের কার্যক্রম চালানো নিয়েও চাপ তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত শুক্রবার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে জাতিসংঘ নিজের কর্মীদের বেতনই দিতে পারছে না।

৬০৬ মিলিয়ন ডলারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহে ব্যয় করার কথা হয়েছে।

আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ডব্লিউএফপি আফগানিস্তানে একটি জরিপ চালিয়ে জানায়, দেশটির ৯৩ শতাংশ মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খায় না।

এ ছাড়া জাতিসংঘের আরেকটি প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) এই সাহায্যের অর্থ আফগানিস্তানে তাদের স্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচলানায় ব্যয় করবে।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *