ডিআইজি পার্থ গোপালের জামিন নাকচ, ফের কারাগারে প্রেরণ

ডিআইজি পার্থ গোপালের জামিন নাকচ, ফের কারাগারে প্রেরণ

৮০ লাখ টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হওয়া বরখাস্ত হওয়া উপ-কারামহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিকের জামিন নাকচ করে ফের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আজ রোববার এ আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ পার্থ গোপাল বণিক আত্মসমপর্ণ করে জামিনের আবেদন করলে, বিচারক শুনানি শেষে জামিন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এর আগে গত গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

গত ২৮ জুন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার শেষ না করে পার্থ গোপাল বণিককে অস্বাভাবিকভাবে জামিন দেওয়ার ঘটনায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেনের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পার্থ গোপাল বণিক অস্বাভাবিকভাবে জামিন দেওয়ার বিষয় নিয়ে বেসরকারি টিভি স্টেশন চ্যানেল-২৪-এ প্রচারিত প্রতিবেদনের ভিডিও ক্লিপ আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পার্থ গোপাল বণিকের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত।

সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিককে অস্বাভাবিকভাবে জামিন দেওয়ার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন। এ ছাড়া তাঁর জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।

ডিআইজি প্রিজন্স (বরখাস্ত) পার্থ গোপাল বণিক গত ১৯ জুন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন পান। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন আদেশ নিয়ে পরদিনই তিনি জেল থেকে বের হন। অনেকটা গোপনে ও তড়িঘড়ি করে এই জামিন ও তিনি কারামুক্ত হন। এই মামলায় গত বছরের ৪ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

২০১৯ সালের ২৭ জুলাই ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিক চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তখন তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৮০ লাখ টাকা অর্জন করেন। সে টাকা তিনি তাঁর নিজ বাসার ক্যাবিনেটে লুকিয়ে রাখেন। অনুসন্ধানকালে অভিযান পরিচালনা করে তাঁর বাসা থেকে ওই টাকা জব্দ করা হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি পার্থ গোপাল বণিক গত বছরের ২৮ জুলাই দুদকে হাজির হয়ে অনুসন্ধান টিমের কাছে বক্তব্য দেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পার্থ গোপাল বণিক জানান, তাঁর বাসায় ৩০ লাখ টাকা আছে, যে টাকার বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। পরে অভিযান চালিয়ে তাঁর বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এই মামলায় হাইকোর্টে একাধিকার জামিন আবেদন করেও তিনি জামিন পাননি।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *