যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বিমান নির্মাতা ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বোয়িং প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কারখানা স্থাপন করছে। অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি হবে বোয়িংয়ের এ প্ল্যান্টটি।
দেশটির কুইন্সল্যান্ডের টুউম্বা শহরে এই কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বোয়িং।
কারখানাটিতে চূড়ান্ত পর্যায়ের সংযোজন কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই কারখানাটিতে বাণিজ্যিক বিমান নয়, সংস্থাটির শুরুর দিকের ব্যবসা সামরিক ড্রোনের নির্মাণকাজ করা হবে। তবে বোয়িংয়ের জন্য এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে আকর্ষণীয় একটি পদক্ষেপ। কয়েক বছর ধরে বোয়িং কঠিন সময় পার করলেও রাজস্ব আদায়ে সংস্থাটির প্রতিরক্ষা, মহাকাশ ও নিরাপত্তা বিভাগটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছে।
২০১৮ সাল থেকে সংস্থাটির এই ইউনিট প্রতি বছর ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার আয় করেছে। যেখানে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স সংকট ও করোনা মহামারিতে বোয়িংয়ের বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ বিক্রি করে আয় ৭২ শতাংশ কমে গেছে। আয় কমেছিল ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার। গত বছর বোয়িংয়ের এ বিভাগের আয়ের প্রায় ৮৩ শতাংশই মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে এসেছে। এ বিভাগে উল্লেখযোগ্য বিদেশি গ্রাহকও আছে।
বোয়িংয়ের প্রধান ব্যবসা বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ খাতের একটি বড় অংশই দেশের বাইরে থেকে আসে। ২০১৮ সালে এই উড়োজাহাজ নির্মাতা রেকর্ড ১০ হাজার ১০০ কোটি ডলার আয় করেছিল। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশই এসেছিল বিদেশি গ্রাহকদের কাছ থেকে।
সংস্থাটির অস্ট্রেলিয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করা দল লয়াল উইংম্যান নামে পরিচিত একটি ড্রোন ডিজাইন করেছে। এ ড্রোনই নতুন কারখানাটিতে তৈরি করা হবে। কারখানাটিতে ২০২৮ সালের মধ্যে ৩ হাজার ৫০০ নতুন পূর্ণকালীন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে অস্ট্রেলীয় বিমানবাহিনী ড্রোনটির একমাত্র গ্রাহক। তবে বোয়িং এ ড্রোনকে অন্য গ্রাহকদের কাছেও রপ্তানির পরিকল্পনা করেছে। অস্ট্রেলিয়ায় এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বোয়িংয়ের সবচেয়ে বড় কার্যক্রম চলছে। দেশটিতে সংস্থাটির প্রায় চার হাজার কর্মী কাজ করেন।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার সাবমেরিন তৈরির ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রিটেনের সহায়তায়। এরপরই এই ঘোষণা দেয় বোয়িং। বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের ২টি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ইমেজ সংকটে পড়েছে বোয়িং।
এন-কে
Leave a Reply