আসন্ন ইউপি নির্বাচনঃ নৌকা বাঁচাতে শপথ পাঠ

আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকা বাঁচাতে কর্মীদের শপথ পাঠ করানো হয়েছে। ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার শপথ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। দল ক্ষমতায় থাকা সত্বেও দলীয় কোন্দল আর লোভের কারণে পরপর দু’বার দলীয় প্রতীক নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর পরাজয় হয়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আট নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশে প্রত্যেক বক্তার বক্তব্যে একথা উঠে আসার প্রেক্ষিতে উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।

শপথ পাঠ করান আওয়ামী লীগ নেতা ও কবি কাজী মোঃ আহসান ইকবাল মঞ্জু। শপথে বলা হয়, দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সবাই একযোগে নিঃস্বার্থভাবে আগামী নির্বাচনে কাজ করবেন। কেউ কারও সাথে ব্যক্তিগত রেষারেষিতে জড়াবেন না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে নিজেদের পরিচালিত করবেন।নয়াহাট বাজারে অনুষ্ঠিত এই কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সদস্য মহসীন কাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান হাসান সরওয়ার আজম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলি ভুট্টো। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বিধান ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বান্দরবান সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শফিউল আজম, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মঈনুল করিম, ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াজ মোহাম্মদ রাব্বী, যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সেকান্দর হায়দার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা সুরঞ্জিত ধর, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ এটম, মোহাম্মদ হোসাইন, মোহাম্মদ হারুন ও কোরবান আলী।

আগামী ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে হওয়া সমাবেশে বক্তারা গত দুই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের জন্য দলীয় কোন্দল, অর্থ লিপ্সা ছাড়াও কতিপয় শীর্ষ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকাকে দায়ী করেন। বিগত নির্বাচনে এমন দৃশ্য দেখা গেছে, পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা নৌকার ব্যাজধরারীদের দেখলেই ধাওয়া এবং নির্দয়ভাবে লাঠিপেটা করেছে। পক্ষান্তরে তাদের ভূমিকা ছিল স্বতন্ত্র লেবাসের প্রার্থীর পক্ষে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে প্রতিকার চেয়েও স্থানীয় নেতাকর্মীরা কারও সহায়তা পাননি বলেও অভিযোগ করেন। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আগামী নির্বাচনে এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাননা বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক মহসীন কাজী বলেন, দুঃসময়ে হারুয়ালছড়ি ছিল আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। আর সুসময়ে এসে তৃণমূলে যে চিত্র উঠে এসেছে তা হতাশাজনক। তাই তৃণমূলের সাহস, শক্তি সুদৃঢ় করতে আগামী নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে দলীয় চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে বিজয়ী করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *