এটার কোনো রহস্য নেই: চঞ্চল চৌধুরী

ছোট পর্দায় তুমুল জনপ্রিয়রা বড় পর্দায় তেমন একটা সাড়া ফেলতে পারেন না। এর উল্টোটাও ঘটে। ঢালিউড অভিনেত্রীরা টিভি নাটকে সেভাবে দর্শকপ্রিয়তা পান না।

কিন্তু অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর বেলায় এ কথা একেবারেই খাটে না। বিজ্ঞাপন দিয়ে সেলুলয়েডে যাত্রা শুরু করা এই অভিনেতা সৃষ্টিশীল এ জগতের সব ক্ষেত্রেই সাফল্য পেয়েছেন।

নাটকে, সিনেমা এমনি ওয়েব প্ল্যাটফর্মেও তার অভিনয় প্রশংসিত। তার সেসব নাটক, সিনেমার কাটতিও অনেক।

চঞ্চল অভিনীত মনপুরা, আয়নাবাজি সিনেমা গত কয়েকযুগের সেরা ব্যবসাসফল ও প্রশংসিত সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম।

সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত তার নতুন ওয়েব ফিল্ম ‘মুন্সিগিরি’ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এক গণমাধ্যম কর্মী চঞ্চলকে প্রশ্ন ছুড়েন – প্রতিটি কাজে, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনার সাফল্য পাওয়ার রহস্যটা কী?

চঞ্চল চৌধুরী সোজাসাপ্টাভাবে জবাব দেন, এটার কোনো রহস্য নেই। কোনো জাদুবিদ্যা নেই।

তবে শ্রোতাপ্রিয়তা পেতে কি সেই মায়াজাল রচনা করেন এ অভিনেতা!

সেই রহস্য উন্মোচনে এবার চঞ্চল বললেন, ‘অধিকাংশ শিল্পী সঠিকভাবে কাজ বা চরিত্রের বাছাই করেন না। যা পায়, তাই করে ফেলেন। কিন্তু আমি যা পাই, তা-ই করি না। আমার কাছে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ সিনেমার প্রস্তাব এসেছে; আমি করেছি মাত্র ৬টি। ওয়েব সিরিজের প্রস্তাব পেয়েছি দেড়’শর কাছাকাছি। আমি বেছে বেছে কয়েকটা করেছি।’

এরপর এ অভিনেতা বলেন, ‘আমি কোনো কাজ করার আগে বিবেচনা করি গল্পটি নতুন কিনা, চরিত্রটি ব্যতিক্রম কিনা, দর্শকদের ভালো লাগবে কিনা। আমি আমার কাজের অভিজ্ঞতা থেকে সিদ্ধান্ত নিই যে, এই সিনেমাটি আমার করা উচিৎ হবে কিনা। কোন গল্প বা কোন নির্মাতার সঙ্গে কাজ করব, এটার সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে হবে শিল্পীকেই। আমরা যদি যা পাই, তা-ই করতে থাকি, তাহলে তো ভালো-মন্দের পার্থক্যটা থাকল না। এখানে জাদু বা রহস্যের আসলে কিছুই নেই। কেবল নিজের সিদ্ধান্তটা ঠিক রাখতে হবে।’

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *