শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে স্থানীয় এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে।

অভিযুক্ত ধর্ষক জামাইয়ের নাম হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫)। সে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার নান্দেশ্বরী এলাকার সোহরাব হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক হাবিব পলাতক রয়েছে।

এদিকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক হাবিবুর রহমান হাবিবকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। শনিবার সন্ধ্যায় সাটুরিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার সাফুল্লী চকপাড়া এলাকায় এবং সে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।

ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, তার স্বামী সাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাটুরিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মার্কেটে ব্যবসা করেন এবং মেয়ে সাটুরিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। সেই সুবাদে তারা মেয়েকে (ওই স্কুলছাত্রী) নিয়ে সাটুরিয়া বাজারের এরশাদ চৌধুরীর (ধর্ষকের শ্বশুরবাড়ি) তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন। শনিবার সন্ধ্যায় ধর্ষক হাবিবুর রহমান তার শ্বশুর এরশাদ চৌধুরীর বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং ওই ভাড়া বাসায় তার মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।

এরপর তার মেয়ের চিৎকারে ধর্ষকের শাশুড়ি শাহনাজ চৌধুরী এগিয়ে আসলে ধর্ষক হাবিব পালিয়ে যায়। পরে তিনি শনিবার রাতেই বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

সাটুরিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই উজ্জল হোসেন জানান, এই ঘটনায় মামলা হলে শনিবার রাতেই ধর্ষককে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযুক্ত ধর্ষক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।

সাটুরিয়া থানার ওসি মো: মতিয়ার রহমান মিঞা বলেন, ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। পরে রোববার ওই স্কুলছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং জবানবন্দীর জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *