সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন হাইকোর্ট।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম জানিয়েছেন, তদন্তে কোনো ক্লু (সূত্র) পাওয়া যায়নি। চারটি ডিএনএ প্রতিবেদনের মধ্যে দুটি মিলেছে। এ দুটিতে আসামিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে সেগুলো ফের আমেরিকায় এফবিআইর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৮ আসামি। বাকী দুটি প্রতিবেদন পাওয়া গেলে অগ্রগতি হবে।
আগামী ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) এ মামলার সন্দেহভাজন আসামি তানভীর রহমানের জামিন আবেদনের ওপর আদেশ দেওয়া হবে।
আট বছরেও মামলার তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় সন্দেহভাজন আসামি মো. তানভীর রহমান হত্যা মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। একই সঙ্গে সন্দেহভাজন আসামি মো. তানভীর রহমানের মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল হবে না তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহেরে রুল জারি করেন আদালত।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ হতাশা ব্যক্ত করেন।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছিলেন।
আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর আসামি তানভীর রহমান হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন।
Leave a Reply