শাড়িতে অপরূপা শরতের নারী

-নারী

বলা হয়ে থাকে, শাড়িতেই অনন্যা বাঙালি নারী। কথাটি নিছক কথার কথা নয়। শাড়িতে বাঙালি নারীর একইসঙ্গে প্রিয়তমা ও মাতৃরূপ যেভাবে ফুটে ‍ওঠে তা আর কোনও পোশাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

ষড়ঋতুর এই দেশে প্রকৃতিতে এখন শরতের মায়াবী স্নিগ্ধ ছোঁয়া লেগেছে। শরতের এই সাদা-নীল আকাশের তলে কাশফুলের আলতো উল্লাসের মতো বাঙালি নারীর শাড়ি যখন মৃদ্যু বাতাসে উঠে তখন প্রেমিক হৃদয়ে রোমান্টিকতার ঢেউ জাগে।

শরতের বহুরূপী আকাশে কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি। স্বচ্ছ নীল আকাশ। খরতাপে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দেয় হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি। প্রকৃতির এই বিচিত্র রঙের খেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জীবন আরও ব্যঞ্জনাময় হয়ে উঠে পোশাকের বৈচিত্র্যে। শরতের শাড়ির সাজ নিয়ে এ প্রতিবেদন।

এই শরতে সুতি, সিনথেটিক, জর্জেট, চিনন শাড়ি পরতে পারেন। রঙের দিকে তো নজর রাখতেই হবে! গাঢ় নয়, হালকা রং বেছে নেবেন। নীল, সবুজ, ফিরোজা, গোলাপি, অফ হোয়াইট রংগুলোতে আপনি হয়ে উঠবেন আরও আকর্ষণীয়।

এছাড়াও চাইলে জরিপাড় সমেত ফিকে নীল শাড়ি, ধানি রং, চাঁপাফুল রং, সাদা জমিনে বুটি তোলা জামদানি শাড়ি এবং সঙ্গে ব্লাউজ ম্যাচ করে পরতে পারেন।

তবে দিনের বেলা গরমে গাঢ় সাজ যেমন মানানসই নয়, তেমনই অন্যদের চোখেও তা দৃষ্টিকটু লাগে। তাই সব মিলিয়ে সাজসজ্জায় স্নিগ্ধভাব থাকা চাই। এজন্য হালকা মেকআপই ভালো। আর সাজের উপকরণের রঙে অবশ্যই উজ্জ্বল রং বেছে নেওয়া উচিত। এ সময় লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, সবুজ রঙে ইচ্ছামতো সেজে উঠতে পারেন।

শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে চোখের কাজল, শ্যাডো, লিপস্টিক ব্যবহার করুন। কপালে লাল, কালো, কিংবা সবুজ টিপে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগবে। বড়জোর হালকা প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। বেছে নিন হালকা গহনা।

এক্ষেত্রে সোনা, রূপা, মুক্তা, অক্সিডাইজ, মেটাল, কাঁচ, মাটি, পুঁতি, কাঠ কিংবা যে কোনো রকমেরই গহনা হতে পারে। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে হাতে চুড়ি বা প্লেন বালা, গলায় লকেট, কানে দুটো হালকা দুল পরলে খুব মানানসেই হবে।

শরতে শাড়ির সাজে চুলের খোঁপাতেও স্টাইল নিয়ে আসতে পারেন। পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে খুলে দিন চুলটা। আর দেশীয় পোশাকের সঙ্গে করতে পারেন ইচ্ছামতো খোঁপা বা ঝুঁটি।

খোঁপায় গোলাপ কিংবা রজনীগন্ধা গুজে নিতে পারেন। কণ্ঠে পরে নিতে পারেন বকুল ফুলের মালিকা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *