এখন থেকে ফ্রান্সের কোনো সার্কাসে বন্যপ্রাণি ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি বাড়িতে পশুপাখি পালনের ক্ষেত্রেও জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। পশুপাখি সংরক্ষণে এমনই এক যুগান্তকারী আইন প্রণয়ন করল ফরাসি সরকার।
কথায় বলে, বন্যেরা বনে সুন্দর। কিন্তু এই সিংহটি এর নিবাস ছেড়ে বন্দি রয়েছে খাঁচায়। তেমনি সমুদ্রের বিশাল বিচরণক্ষেত্র থেকে সরিয়ে ডলফিনগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ছোট কৃত্রিম লেকে। আর এভাবে দিনের পর দিন সার্কাসসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বন্যপ্রাণি।
সম্প্রতি পশুপাখি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ আইন পাস করেছে ফ্রান্স। সিনেটে সর্বসম্মতিক্রমে পশু নির্যাতন বন্ধে আইনটি পাস হয়। এর ফলে এখন থেকে দেশটির সার্কাসগুলোতে আর কোনো বন্যপ্রাণি ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি পশুপাখি বেচাকেনাতেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
ফরাসি সিনেটর সোফি প্রিমাস বলেন, অবশেষে মানবতার জয় হলো। পশু নির্যাতন দমনে বহুল প্রতীক্ষিত আইন পাস করেছে সরকার। সার্কাসে যেভাবে পশুপাখির ওপর অত্যাচার করা হয়, তা খুবই দুঃখজনক। এখন থেকে প্রাণি সংরক্ষণে যা যা করা প্রয়োজন, তাই করব আমরা।
নতুন আইন অনুসারে, ফ্রান্সে খামারে বেজি ও অনেক সরীসৃপ প্রাণির উৎপাদন, লালনপালন বন্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়া পশুপাখি কেনার ক্ষেত্রে একটি চুক্তিনামায় সই করতে হবে। বাড়িতে রাখা কোনো পশুর ওপর অত্যাচার হলেও কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এমনকি ৫ বছরের জেল ও ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরেই ফ্রান্সে পশুপ্রেমীরা এই আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সার্কাস ও বাড়িতে পশুপাখি পোষার নামে অত্যাচার চালানো হয় বলে তাদের অভিযোগ ছিল।
এন-কে
Leave a Reply