লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্টিত বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮ নং ওয়ার্ডে লস্কর পাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট কারচুপি করে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী রফিক উদ্দিন (ফুটবল মার্কা) কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এ ভোট কেন্দ্রে পুন: ভোট গননা এবং পুন:নির্বাচন চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন একই ওয়ার্ডের তিন প্রতিদ্বন্দি মেম্বার প্রার্থী সোহেল উদ্দিন, নাছির উদ্দীন ও মো : আনোয়ার হোসেন। ২৬ ও ২৮ ডিসেম্বর পৃথক পৃথক এসব অভিযোগ গুলো দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে ৮নং ওয়ার্ডের লস্কর পাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট গণনায় কারচুপি করে তিন প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী সোহেল উদ্দিন, নাছির উদ্দীন ও মো : আনোয়ার হোসেনের নির্বাচনী এজেন্টদের (প্রতিনিধি) স্বাক্ষর না নিয়ে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুুহাম্মদ রফিক উদ্দিন (ফুটবল মার্কা) কে বিজয়ী ঘোষণা করেন প্রিজাইডিং অফিসার। মুলত কুট কৌশল করে কেন্দ্রে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রভাবিত হয়ে তাদেরকে পরাজিত করা হয়েছে বলে তিন প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর দাবী। এতে জনগণের প্রকৃত রায়ের প্রতিফলন না ঘটায় উক্ত কেন্দ্রে পুন:ভোট গণনা কিংবা পুন: নির্বাচনের জোর দাবী জানিয়েছেন তাঁরা।
মেম্বার পদপ্রার্থী সোহেল উদ্দিন জানান, জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে। কুটকৌশল করে প্রভাবিত হয়ে কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ আমাকে পরাজিত করে দিয়েছে। আমি প্রতিকার চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছি। একই অভিযোগ প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী নাছির উদ্দীন ও মো : আনোয়ার হোসেনেরও।
এ প্রসঙ্গে জানতে বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২১ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা : এ. এম. খালেকুজ্জামানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, বিজয়ী ঘোষিত বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার রফিক উদ্দিন জানান, জনগণ ভোট দিয়ে আমাকে পুণরায় নির্বাচিত করেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আমাকে লিখিতভাবে বিজয়ীও ঘোষণা করেছে। তবে, একটি কুচক্রীমহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
Leave a Reply