সাম্প্রদায়িক ভেদ বুদ্ধির উর্ধ্বে মাইজভান্ডারী ত্বররিকা-সৈয়দ আহমদ হোসাইন শাহরিয়ার মাইজভাণ্ডারী (ম.)

মাইজভান্ডার দরবার শরীফের আহমদিয়া মন্জিলের মোন্তাজেম ও সাজ্জাদানশীনে দরবার আলহাজ্ব শাহসুফি সৈয়দ আহমদ হোসাইন শাহরিয়ার মাইজভাণ্ডারী (ম.) বলেছেন,উপমহাদেশের প্রধান আধ্যাত্মিক চর্চার প্রাণকেন্দ্র মাইজভান্ডার দরবার শরীফ। এটি কেবল একটি দর্শন, পারলৌকিক সাধনা কিংবা চেতনার নাম নয়। বরং একটি মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক এবং বিচারসাম্য মূলক সমাজ বিনির্মাণের সংগ্রাম। এ দর্শন সব ধরনের গোঁড়ামি ও মানবতাবিরোধী অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং অর্থনৈতিক বিপ্লব। মাইজভান্ডার দর্শনে ধর্ম সাম্যের যে বাণী তার যথার্থ প্রতিফলন পরিলক্ষিত হয় এর প্রবর্তক শাহ সুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ)’র কর্মকান্ডের মধ্যে। তিনি জাতি–ধর্ম–বর্ণ–গোষ্ঠীর সকলকে স্ব–স্ব ধর্মে থেকে কাজ করার ও আল্লাহকে স্মরণ করার পরামর্শ দিতেন। তাই সাম্প্রদায়িক ভেদ বুদ্ধির উর্ধ্বে মাইজভান্ডারী ত্বররিকা। এ ত্বরিকার অনুস্মরণ ও অনুকরণেই আমরা ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির পথ সুগম হবে।

তিনি গতকাল সোমবার বিকেলে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে অধ্যাত্ম শরাফতের মহান প্রতিষ্ঠাতা ও মাইজভাণ্ডারী ত্বরীকার একমাত্র প্রবর্তক হযরত গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারী মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) প্রকাশ হযরত কেবলা কাবা’র ১১৬তম পবিত্র বার্ষিক ওরশ শরীফে আগত আশেক ভক্তদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
এসময় আলহাজ্ব শাহসুফি সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন সোহেল মাইজভাণ্ডারী (ম.) উপস্খিত ছিলেন।বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কাজী মুহাম্মদ জানে আলম বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, আব্দুল হামিদ, মুফিজুল আলম, সদস্য সচিব নাজমুল হাসান মাহমুদ শিমুল, সহকারী সচিব মুহাম্মদ হাসান, লালন ওসমান, কফিল উদ্দিন প্রমূখ ।মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল হকের পরিচালনায় মিলাদে নববী ও তাওয়াল্লোদে গাউছিয়া শেষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব শান্তি কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণী। এতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ,শাখা ও দায়রার সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক ,ওরশ শরীফের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজার,সুপ্রিম সুপারভাইজার এবং বিভাগীয় পরিচালকসহ বিপুল সংখ্যক আশেকানে মাইজভাণ্ডারীগন উপস্থিত ছিলেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *