ওজন নিয়ন্ত্রণে পপকর্নের জুড়ি নেই!

‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’। সেই স্বাস্থ্যের জন্য দরকার পরিমিত খাবার ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। আর ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য দরকার শরীরচর্চা ও প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় কী খাচ্ছেন তা জানা। এ ক্ষেত্রে তিন বেলা খাবারের পাশাপাশি হালকা খাবার বা স্ন্যাকস কী খাবেন, তা ঠিক করে ফেলতে পারলে স্বাস্থ্যও ঠিক থাকবে, পাশাপাশি ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। মূলত যেসব খাবার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, সেসব খাবারই গ্রহণ করা উচিত। পুষ্টিবিদরা বলেন, খালি পেটে বেশি সময় থাকা একদমই ঠিক নয়। হালকাপাতলা কিছু খাবার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। তবে হালকাপাতলা খাবার মানেই ফাস্টফুড নয়। যা খেলে খিদেও মিটবে আবার ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে, তাই খাওয়া উচিত।

পপকর্নের সঙ্গে সিনেমার একটা বিশাল যোগসূত্র আছে। সাধারণত আমরা সিনেমা হলে গেলেই বেশি পপকর্ন খাই। আর বাহিরে কোনো দোকান পেলে খাওয়া হয়। এই পপকর্ন যে আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে, এই তথ্য আমরা খুব কম মানুষই জানি। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, একবসায় অনেক বেশি পপকর্ন খাওয়া যাবে না। সাধারণত রেস্তোরাঁ বা সিনেমা হলে মাখন ও লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে তা ওজন নিয়ন্ত্রণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। পপকর্ন নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর, তবে খাদ্যতালিকায় এটি রাখার সময় উক্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। তাই পরিমিত পরিমাণের তেলে পপকর্ণ ভেজে তারপর খাবেন। যাতে মাখন ও লবণের পরিমাণ খুবই সামান্য থাকে।

পপকর্ন স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, তা কিছু পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো–
১. এক কাপ পপকর্নে মাত্র ৩০ ক্যালরি থাকে। এ ছাড়াও এটি প্রোটিন, ফোলেট, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন, ভিটামিন বি, এ, ই এবং কে-র মতো পুষ্টিগুণে ভরপুর।
২. শরীরে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর ও পরিপাকতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৪. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৫. হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়।
৬. চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী।
৭. পপকর্ন প্রচুর পরিমাণে ফাইবারে পরিপূর্ণ, যা রক্তনালি ও ধমনির দেওয়ালে কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয়। ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।

সারা দিনে কত ক্যালরি গ্রহণ করেছেন আর কত ক্যালরি খরচ করেছেন, তার মাধ্যমেই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝা যায়। আর পপকর্নে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে বিধায় তা ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

এন-কে