ভাটিয়ারীতে সাংগঠনিক নিয়ম ভঙ্গ করে অগণতান্ত্রিকভাবে কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অগঠনতান্ত্রিকভাবে গঠিত কমিটি বাতিল করে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে সকলের মতামতের ভিক্তিতে কমিটি গঠনের জন্য আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাব্বির আহমদ চৌধুরী। অন্যথায় আইনী প্রক্রিয়ার আশ্রয় নেয়া হবে বলে তিনি হুঁসিয়ারী দেন।

আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহবান জানিয়ে বলেন, গত ১৭ নভেবম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গোপন ব্যালেটের মাধ্যমে নির্বাচন না করে নির্লজ্জ প্রক্রিয়ায় কণ্ঠ ভোটে নির্বাচনের নামে প্রহসনের কমিটি দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল সম্মেলনের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন।

সংবাদ সংম্মেলনে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান, ছোটকাল থেকে মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছি। স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার মরহুম পিতাসহ আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী রাজনীতির জন্য নিবেদিত প্রাণ। সে সুবাদে আমি একজন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম। কেন্দ্রের নির্দেশে সীতাতুণ্ড থানায় সম্মেলন প্রস্ততি শুরু হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় ২৫ অক্টোবর ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড সম্মেলন হয়।

কিন্তু নানান অনিয়ম অসংগতি প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে যেনতেনভাবে সম্মেলন শেষ হয়। ওয়ার্ড সম্মেলন শেষ হওয়ার পর শুরু হবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এতে নতুন নেতৃত্বের আশায় প্রস্তুতি নিতে থাকি নিজেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে। এর পরপরই শুরু হয় ষড়যন্ত্র। কাউন্সিলর তালিকা না দেয়া, দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত লোক দিয়ে করা হয় কাউন্সিলর তালিকা। সব মেনে নিয়ে কাউন্সিলর তালিকা চাইলাম বর্তমান সভাপতি সাধারণ সম্পাদকদ্বয়ের কাছে। তারা দিল না। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন নেতাদের কাছে প্রতিকার চেয়েও পাইনি।

দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল সম্মেলনের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট ফখরুল উদ্দিনের কাছে প্রতিকার চেয়ে পেলাম না। তাদের তৈরী তালিকা মেনে নিয়েই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হলাম। এবার কাউন্সিলর তালিকাও দেবে না। নির্বাচনের ২৪ ঘন্টা আগে দেয়া হল তালিকা। কিন্তু এ অল্প সময়ে ২৫০ জন কাউন্সিলরের কাছে ভোট চাওয়া সম্ভব নয়। তবু নেমে পড়লাম নির্বাচনে। সভাপতি পদে অন্য কোন প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সভাপতি হয়। কিন্তু সাধারণ সম্পাদকে নির্বাচন করতে গিয়ে তারা গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বেআইনি কণ্ঠভোটে প্রার্থী নির্বাচনের কথা বললে সবাই প্রতিবাদ করে।

কিন্তু সমস্বয়কের দায়িত্বে থাকা এ্যাডভোকেট ফখরুল উদ্দিন ধমক দিয়ে বলে আমি যেভাবে করবো সেভাবেই হবে। অথচ সীতাকুণ্ড অন্যান্য ইউনিয়ন ও পৌরসভার কমিটি গঠন হয়েছে নিয়মতান্ত্রিক গোপন ব্যালটের মাধ্যমে।পরবর্তিতে তারা আমার প্রতিদ্বন্ধি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীকে কণ্ঠভোটে মনোনীত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাব্বির আহমদ এই অসংবিধানিক অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত কমিটি বয়কট করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপি জামায়াত শিবির সমর্থিত অনেকেই কাউন্সিলর হয়েছে বলে দাবী করে তাদের তালিকা কেন্দ্রিয় নেতাদের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান। এবং অবিলম্বে গঠিত কমিটি বাতিল না করলে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে ঘোষণা দেন।

সংবাদ সন্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক শাহরিয়ার চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদুল আলমসহ বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা উপস্থিন ছিলেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *