ক্যান্সার প্রতিরোধে আরও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় কাজ করবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, ক্যান্সার প্রতিরোধে আরও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তার মন্ত্রণালয় কাজ করবে। জেলা ও উপজেলা তথ্য অফিসসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা নিয়ে এই সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই সরকার বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন বন্ধ, এসিড নক্ষেপ সন্ত্রাস প্রতিরোধ, মাদক নির্মূলে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

আজ বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত নটর ডেম কলেজ মিলনায়তনে ‘নভেম্বর ফুসফুস ক্যান্সার সচেতনতা মাস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নটর ডেম কলেজের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে বিকন ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটাল লিমিটেডের অনকোলজি ও রেডিও থেরাপির কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান চৌধুরী।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম। নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফাদার হেমান্ত পিয়াস ও বিকন ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেডের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন।

নটর ডেম কলেজের সাবেক ছাত্র তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, নটরডেম কলেজ দেশের একটি ঐত্যিবাহি কলেজ- দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে এই কলেজের নাম জড়িয়ে আছে। এই কলেজটি শিক্ষার্থীদের কাছে স্বপ্ন, প্যাশন ও দৃষ্টান্ত।

প্রতিমন্ত্রী কলেজের উপস্থিত তার উত্তরসূরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমরা যারা আজ আমাদের সামনে বসে আছ, তোমরাই আগামী দিনে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।’

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে স্পিড, স্প্রিট ও কনফিডেন্স তৈরি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়ে এই কলেজে পড়ার সময়কার বিভিন্ন স্মৃতি শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরে তাদের উৎসাহিত করেন।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ফুসফুস ক্যান্সার নির্মূল করা সম্ভব। ধূমপানই ফুসফুস ক্যান্সারের মূল কারণ। তাই যারা ধূমপান করেন তা তাদেরকে পরিত্যাগ করতে হবে। ধূমপান পরিত্যাগই ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধের বড় উপায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত এক দশকে ফুসফুস ক্যান্সার চিকিৎসার উন্নতি হয়েছে। দেশে যে জনসংখ্যা রয়েছে সেই হিসেবে এখানে ৩০০টি ক্যান্স্যার সেন্টার থাকার কথা। কিন্তু দেশে বর্তমানে মাত্র ২০টি ক্যান্সার সেন্টার রয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *