চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ইফতেখার মালিকুল মাশফি (৭) হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
বুধবার (৯ মার্চ) বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে মাশফি হত্যার বিচার ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র মো. জহুরুল হক জহুর, কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রলীগ নেতা এসএম কাজেম, আসাদ তালুকদার, হোসাইন মাহমুদ, সাজু খান, হাফিস মিয়াজি, সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
এ মানববন্ধনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও সন্তান কমান্ড, উপজেলা সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারী, সারোয়াতলী ও চরণদ্বীপ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ নামীয় ব্যানারে মাশফি হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
বক্তারা বলেন, শিশু মাসফিকে যারা হত্যা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে আর কোনো শিশুকে এভাবে নৃশংসভাবে খুন করতে কেউ সাহস না পায়।
প্রসঙ্গত গত শনিবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চরণদ্বীপ শেখ অছিয়র রহমান ফারুকী (ক.) এতিমখানা ও হেফজখানা থেকে এ নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার ইফতেখার মালিকুল মাশফির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হাফেজ জাফর আহম্মদ, হাফেজ রুস্তম আলী ও শাহাদাত হোসেন নামের ৩ শিক্ষককে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
এর মধ্যে শিক্ষক জাফর আহম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ও অপর দুই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে এ নৃশংস হত্যাকান্ডের চারদিন পেরিয়ে গেলেও ঘটনার জট খুলতে পারেনি পুলিশ। যদিও পুলিশের দাবি রহস্য উদঘাটনে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
পুলিশ ইতিমধ্যে জাফর আহম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি বিষয় মাথা রেখে তদন্ত এগিয়ে যাচ্ছে। এখনই তা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করতে পারছি না।
নিহত ইফতেখার মালিকুল মাসফি উপজেলার চরণদ্বীপ ফকিরাখালী বক্সি মিয়া সওদাগরের বাড়ীর প্রবাসী আবদুল মালেকের ছেলে। সে হেফজখানায় কায়েদা’র ছাত্র ছিলো।
এন-কে
Leave a Reply