সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণে যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে এবং সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে যে প্রত্যয় ঘোষণা করেছে তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এপেক্স বাংলাদেশ। এরেই অংশ হিসেবে রাজধানীতে এপেক্স বাংলাদেশের উদ্যোগে মাদক বিরোধী সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘মাদককে না বলুন’ এই স্লোগানকে সামনে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সাইকেল র্যালিটি জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে শুরু করে খামারবাড়ি, সাত রাস্তা, মগবাজার, মৎস্যভবন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
সাইকেল র্যালিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুল মান্নান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা।
আরো উপস্থথিত ছিলেন এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি এম.এ.কাইয়ুম চৌধুরী, সহসভাপতি নিজাম উদ্দিন পিন্টু, এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন কামাল,আব্দুর রব দিলীপ এলজি ও পিএনপি,অতীত জাতীয় সভাপতি ও লাইফগভর্নরবৃন্দ,জাতীয় বোর্ডের কর্মকর্তাগণ,প্রাণ আরএফএলের চীফ অপারেটিং অফিসার জয়নাল আবেদীন,জেনারেল ম্যানেজার(মার্কেটিং) চৌধুরী ফজলে আকবর,দূরন্ত বাইসাইকেলের ব্র্যান্ড ম্যানেজার রকিবুল আহসান। অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন এজাজ মাহমুদ রনী।
র্যালিতে প্রায় তিন শতাধিক সাইক্লিস্ট অংশ নেন। সাইকেল র্যালি শেষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় বোর্ডের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য,১৯৩১ খৃষ্টাব্দে অস্ট্রেলিয়ায় এয়েন লেইর্ড,ল্যাংহাম প্রাউড এবং স্যার জন বুকান কেটির হাত ধরে যাত্রা শুরু করে এপেক্স। সুলেমান খানের মাধ্যমে করাচি হয়ে ঢাকায় এপেক্সের সূচনা হয় ১৯৬১ খৃষ্টাব্দে। এপেক্স বাংলাদেশ সারাদেশে ৯টি অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে। সারাদেশে এপেক্স বাংলাদেশের ১৩২টি ক্লাব রয়েছে। ক্লাব গুলোতে প্রায় তিন হাজার এপেক্সিয়ান যুক্ত আছেন। যারা সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মাুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
Leave a Reply