কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে বড় লিড পেয়েছে ভারত। ২৪১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত।
চার উইকেট নিয়ে লাঞ্চ ব্রেকে গিয়েছিল ভারত। তখনও নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কোহলি। লাঞ্চ ব্রেকের পরেই আবু জায়েদ রাহীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি আউট হন ১২ করে। নতুন বল হাতে নিতেই ঝলক দেখান বাংলাদেশের বোলাররা। বাউন্ডারি লাইনে তাইজুলের অসাধারণ এক ক্যাচে এবাদতের বলে সাজঘরে ফিরে যান কোহলি। আউট হওয়ার আগে করেন ১৩৬ রান!
সাহা ও অশ্বিন মিলে কিছুটা চেষ্টা করলেও দলীয় ৩২৯ রানে আল-আমিনের বলে এল্বিডব্লিউর শিকার হন অশ্বিন। আল-আমিন, এবাদতের পর নতুন বলে উইকেট তুলে নেন আবু জায়েদও। উমেশকে স্লিপে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন আবু জায়েদ। ৩৩১ রানে ফের উইকেট তুলে নেন আল-আমিন। শেষ পর্যন্ত ৩৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।
এর দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালোই করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। কোহলি প্রথমদিনেই ফিফটি পেলেও, দ্বিতীয় দিনে এসে ফিফটির দেখা পান রাহানে। অন্যদিকে ফিফটিকে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন কোহলি। ফিফটি করে ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি রাহানে।
তাইজুলের স্লোয়ারে এবাদতের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাহানে। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৫১ রানের ইনিংস সেই সাথে কোহলির সঙ্গে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরির দেখা পান ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
প্রথমদিনে মাত্র ১০৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ইশান্ত শর্মা একাই তুলে নেন পাঁচ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে শুরুতে ফিরিয়ে সাফল্য পান আল-আমিন হোসেন। রোহিতের ক্যাচ ছাড়লেও শেষ সেশনের শুরুতে তাকে ফেরান এবাদত। ২১ করে আউট হন তিনি। তবে পূজারা ও কোহলির দায়িত্বশীল ব্যাটিং ভারতকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। প্রথমদিনের শেষদিকে ব্যক্তিগত ৫৫ করে এবাদতের বলে আউট হন পূজারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ১০৬
সাদমান ২৯, লিটন ২৪*, নাঈম ১৯: ইশান্ত ৫-২২
ভারত ৩৪৭-৯ (১ম ইনিংস)
কোহলি ১৩৬, পূজারা ৫৫: আল আমিন ৩-৮৫
Leave a Reply