উচ্ছাস আর আনন্দময় পরিবেশে নদী, পাহাড় আর সবুজের ছায়াঘেরা কাপ্তাইয়ের কাপ্তাই শহিদ মোয়াজ্জেম নেভাল ঘাঁটিতে এপেক্স ক্লাব অফ বাংলাদেশের অন্তর্গত জেলা-০৩ এর বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ ও মিলন মেলা সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) কাপ্তাইয়ে অবস্থিত শহিদ মোয়াজ্জেম নেভাল ঘাঁটি এবং প্যানোরমা জুম রেঁস্তোরায় বনভোজনের আয়োজন করা হয়।
এতে জেলা-০৩ এর বিভিন্ন ক্লাবের এপেক্সিয়ান এবং তাদের পরিবার অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত বনভোজনে এলজি-পিএনপি,এলএম,জাতীয় বোর্ডের সদস্য,পিডিজিসহ,ডিজি,ক্লাব প্রেসিডেন্টসহ দেড় শতাধিক এপেক্সিয়ান অংশ গ্রহণ করেন।
শুক্রবার সকাল ৮ টায় নগরীর মুরাদপুর থেকে কাপ্তাইয়ের উদ্দেশ্যে এপেক্সিয়ানদের বহনকারী দুটি বাস যাত্রা শুরু করে। এছাড়া বান্দরবান এবং রাঙ্গামাটি থেকে হাইস ও মোটরসাইকেল যোগে এপেক্সিয়ানগণ আনন্দ ভ্রমণে যোগ দেন।
বাসেই সবাই সকালের নাস্তা সেরে নেন সবাই। এরপর আনন্দ ভ্রমণের গেঞ্জি এবং টুপি পরিধান করেন সবাই।
পিকনিক স্পটটি ছিল অসম্ভব সুন্দর একটি জায়গা। এতে খোলা মাঠের পাশাপাশি ছিল এশিয়ার সর্ববৃহৎ হ্রদ। দুপুর বেলার গরমে হ্রদের পরিবেশ ছিল বেশ স্বস্তিদায়ক। চট্টগ্রাম শহরের ব্যস্ততা কাটিয়ে নিজেকে সতেজ করতে এটা ছিল দারুণ একটা জায়গা।
পিকনিকে দুপুরের খাবার দেয়া হয় ১.৩০ টায়। এরপর শুরু হয় কালচারাল এবং স্পোর্টস প্রোগ্রাম। নানা রকম মনোমুগ্ধকর নাচ, গান, খেলাধুলা আর আনন্দ আড্ডায় মেতেছিলেন পরিবারসহ এপেক্সিয়ানরা।
পিকনিকে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা,কৌতুক,একক অভিনয় এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন সকল এপেক্সিয়ানরা। একেবারে শেষে অনুষ্ঠিত হয় র্যাফেল ড্র। পুরস্কার বিতরণ করেন এলজি পিএনপি কুতুব উদ দৌলা,এলজি পিএনপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.জবিউল হোসেন,এনএসডি ইলিয়াছ জসিম,এনএডি ড. হাসান আলী,এলএম শফিউল আলম খোকন,এলএম জয়দেব দাস,এলএম মাহবুব মাওলা রিপন,এলএম হাবিবুর রহমান।
এই সময় বিভিন্ন এপেক্সিয়ানদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় শহরের কর্ম ব্যস্ততার মাঝে কাপ্তাই হ্রদ এর মত এত সুন্দর একটি জায়গায় এসে তারা খুবই আনন্দিত যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না । তারা আরো বলেন, এই পরিবেশে বছরের যে কোন সময় এখানে ঘুরতে আসলে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যাবে এবং সন্তানরা আনন্দ পাবে।
পুরো আয়াজনটি তত্তাবধান করেন ডিজি-০৩ এ্যাড.এরশাদুর রহমান রিটু,পিডিজি-০৩ এ্যাড.মীর ফেরদৌস সেলিম,জেলা-০৩ এর সম্পাদক এনামুল হক(ডিজিটাল হুজুর),চীফ কোঅর্ডিনেটর হুমায়ূন কবির,কোঅর্ডিনেটর মান্নান নাবিল।
পিকনিকের মিডিয়া পার্টনার ছিল ২৪ঘণ্টা ডট নিউজ।
উল্লেখ্য,১৯৩১ খৃষ্টাব্দে অস্ট্রেলিয়ায় এয়েন লেইর্ড,ল্যাংহাম প্রাউড এবং স্যার জন বুকান কেটির হাত ধরে যাত্রা শুরু করে এপেক্স। সুলেমান খানের মাধ্যমে করাচি হয়ে ঢাকায় এপেক্সের সূচনা হয় ১৯৬১ খৃষ্টাব্দে। এপেক্স বাংলাদেশ সারাদেশে ৯টি অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে। সারাদেশে এপেক্স বাংলাদেশের ১৩২টি ক্লাব রয়েছে। ক্লাব গুলোতে প্রায় তিন হাজার এপেক্সিয়ান যুক্ত আছেন। যারা সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মাুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
Leave a Reply