মাইজভান্ডারী তরিক্বার দ্বিতীয় প্রাণ পুরুষ শাহ্সূফী সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (ক.) এর ৮৬ তম বার্ষিক ওরশ শরীফে লাখো ভক্ত-আশেক-জায়েরীনদের সমাগম ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার ছিল তিনদিন ব্যাপী ওরশের সমাপনীদিন। দেশ-বিদেশের লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে মুনাজাত পরিবেশর করেন বিশ্ব মোমেন মঞ্জিলের শাজ্জাদানশীন সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (ম.জি.আ)।রাতে আখেরী মুনাজাত পূর্ব আলোচনায় তিনি বলেন, উপমহাদেশে যেসব আউলিয়ায়ে কেরাম ও সুফি সাধকবৃন্দ ইসলামের প্রচার-প্রসার ও তরিক্বত চর্চার নিরবচ্ছিন্ন কাজ আঞ্জাম দিয়ে গেছেন, তন্মধ্যে যুগশ্রেষ্ঠ অলিয়ে কামেল হযরত ছৈয়দ মাওলানা গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী (বাবা ভান্ডারী) র: ছিলেন অন্যতম। ইসলামের এ মহান সাধক পুরুষের অনন্য অবদান কোনভাবেই বিস্মৃত হবার নয়। বিভিন্ন অনিয়ম, অসংগতি, অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার ও পাপাচারের মুলোৎপাটন করে জাতীয় জীবনে একটি সুস্থ সমাজ বির্নিমানে অনন্য ভুমিকা রেখেছেন।
তাঁর আধ্যাতিকতার কোমল পরশে অসংখ্য দিকভ্রান্ত মানুষ পেয়েছে সঠিক পথের সন্ধান। এমনকি তাঁর ওফাত পরবর্তীতেও অসংখ্য-অগনিত মানুষ তাঁর ফয়েজ ও বরকত হাসিলের মাধ্যমে ধন্য হচ্ছেন নির্দ্ধিধায়। সত্যিকার অর্থে হযরত ছৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী (র:) ছিলেন সত্যানুসন্ধানী মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তিনি শিক্ষা দিয়েগেছেন মাইজভান্ডারী দর্শণে আছে শান্তি ও মুক্তির পথ।
তিনি আরো বলেন, আজ বিশ্বব্যাপী বিভেদ, অনৈক্য-বিভাজন ও মানুষে মানুষে হানাহানি-সংঘাতের দুঃসময়ে মাইজভাণ্ডারী মহাত্মাদের প্রদর্শিত শান্তি ও সম্প্রীতির দর্শন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে।বৈশ্বিক কল্যাণে ও মানবিক সাম্য-শান্তি প্রতিষ্ঠায় মাইজভাণ্ডারী দর্শনের অনুসৃতি প্রয়োজন। আজকের এই মহান অলীর জীবনাদর্শ মানব জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে অনুসরণ-অনুকরণ করার অঙ্গীকার করি।শাহজাদা সৈয়দ নুরুল বশর মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশেকানে মাইজভান্ডারী এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ছালাম সরকার, মাওলানা শায়েস্তা খান, মাওলানা নিজামুল হক শেরেবাংলা, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা জাকির হোসেন, খাদেম ওহাব মাইজভান্ডারী, খাদেম আবুল হাসেম, আবদুল মালেক, দিদার, কামাল প্রমুখ।
Leave a Reply