চট্টগ্রাম বন্দরে চালু হলো ইলেকট্রিক ডেলিভারি সিস্টেম

অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে চট্টগ্রাম বন্দরে ইলেকট্রিক ডেলিভারি সিস্টেম চালু করা হয়েছে। আজ ৬ এপ্রিল, বুধবার থেকে নতুন এই পদ্ধতি চালু করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, যে কোনো পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকে এলসি খোলা থেকে শুরু করে ডেলিভারি পর্যন্ত শত শত কাগজের নথিপত্রের জট সৃষ্টি হয়। এসব নথিপত্রের সব হাতে জমা দিতে হয় বলে অহরহ চলে ঘুষ লেনদেন। এছাড়া জাল নথির মাধ্যমে একজনের আমদানি করা পণ্য অন্যজনের ডেলিভারি নেওয়ার ঘটনাও ঘটে। সে সঙ্গে শিপিং এজেন্ট থেকে শুরু করে বন্দর এবং কাস্টম হাউজে এসব নথি জমা দিতে গিয়ে সময় লাগে অনেক বেশি।

লেকট্রিক ডেলিভারি সিস্টেম চালুতে এখন আর কাগজের বোঝা নিয়ে শিপিং-বন্দর এবং কাস্টমস হাউসে দৌঁড়াতে হবে না। ঘরে বসেই অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে বন্দর থেকে ডেলিভারি নেওয়া যাবে। এতে করে সময় যেমন সাশ্রয় হবে, তেমনি হতে হবেনা হয়রানি। গত চার মাস ৬টি শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে এ পদ্ধতিটি পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হয়। মঙ্গলবার থেকে ৩৩৭টি প্রতিষ্ঠান ডেলিভারি অর্ডারের কাজ অনলাইনেই সম্পন্ন করছে।

এবিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ইলেকট্রনিক ডেলিভারি সিস্টেমের মাধ্যমে হাতে হাতে লেনদেনের দিন শেষ হয়ে গেছে। এখন থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে লেনদেন হবে। এতে অবৈধ লেনদেনের পরিমাণ শূন্যের কোটায় নেমে আসবে বলে আশা করছি।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, এই ডিজিটাল পদ্ধতির ফলে কাউকে অফিসে আসতে হবে না। কোন রকম দেখা-সাক্ষাৎ ছাড়াই বৈধভাবে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন হবে। এতে করে দুর্নীতির মাত্রা অনেকখানি কমে আসবে।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *