ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়ায় খাদ্য ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে : জাতিসংঘ

রাশিয়ার নাগরিকেরা তাঁদের ব্যয়যোগ্য আয়ের গড়ে ৪০ শতাংশ খাবারের জন্য ব্যয় করছেন, যা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা-এফএও’র রাশিয়া লিয়াজোঁ অফিসের পরিচালক ওলেগ কোবিয়াকভ এ তথ্য জানিয়েছেন।

রুশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর মস্কোর ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে ১ এপ্রিলে দেশটির বার্ষিক খাদ্যমূল্যের স্ফীতি ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।

রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশটির অর্থনীতি বৈশ্বিক বাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে; দেশটিকে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার অংশ থেকে অবরুদ্ধ করেছে; এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেক রুশ নাগরিক চিনি ও বাজরার মতো প্রধান খাদ্যদ্রব্য কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে।

রাশিয়া খাদ্য, ওষুধসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা বিবেচনা করছে। এবং কিছু কৃষিপণ্য রপ্তানি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে। রুশ সরকার বলেছে—তারা প্রায় সব রপ্তানি পণ্যের মূল্য বিনিময় রুবলের (রুশ মুদ্রা) মাধ্যমে করতে পারে।

এফএও’র রাশিয়া লিয়াজোঁ অফিসের পরিচালক বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ায় মানুষজনের বেতন মোটামুটি একই রয়ে গেছে, কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। এবং অনেক পশ্চিমা সংস্থা রাশিয়া থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে লোকজন চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয় পড়েছে।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *