ইকুয়েডরে কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গা, নিহত কমপক্ষে ৪৩

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গায় কমপক্ষে ৪৩ জন বন্দি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (৯ মে) ভোরে দেশটির সান্তো ডমিঙ্গো কারাগারে বন্দি থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপগুলোর সদস্যদের মধ্যে দাঙ্গার পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

ইকুয়েডরের সরকারের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে কারাগারে দাঙ্গা ও প্রাণহানির ঘটনা খুবই সাধারণ।

এদিকে কারাগারে দাঙ্গার পর সেখানকার অনেক বন্দি পালিয়ে যান। ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাট্রিসিও ক্যারিলো সাংবাদিকদের বলেছেন, পালিয়ে যাওয়া ১১২ জন বন্দিকে পুনরায় আটক করা হয়েছে এবং ১০৮ জন বন্দি এখনও পলাতক রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আদালতের আদেশের পরে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতাকে সান্তো ডোমিঙ্গো শহরের বেলাভিস্তা কারাগারে স্থানান্তর করার পর দাঙ্গা শুরু হয়। মূলত আদালতের আদেশে ওই ব্যক্তিকে স্থানান্তর করায় বন্দিদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করে থাকতে পারে।

ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় উভয়ই দাঙ্গায় ৪৩ জন বন্দি নিহতের কথা জানিয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাট্রিসিও ক্যারিলো বলেছেন, নিহতদের বেশিরভাগকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।

কারাগারে দাঙ্গা ও প্রাণহানির ঘটনা খুবই সাধারণ। মাদক, বিশেষ করে কোকেনের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিয়মিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রেফতার করছে পুলিশ এবং তাদের দ্বন্দের কারণেই দেশটির কারাগারগুলো দিন দিন যুদ্ধক্ষেত্রে রূপান্তরিত হচ্ছে।

রয়টার্স বলছে, গতবছর ইকুয়েডরজুড়ে বিভিন্ন কারাগারে দাঙ্গায় ৩১৬ জন বন্দির মৃত্যু হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *