প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে ‘অশনি’। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে থাকা অশনি গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ২০ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসছে। তবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এদিকে অশনি’র প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে চট্টগ্রামের দামপাড়া অফিসে জরুরি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।চসিকের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর দেওয়া হয়। ০৩১-৬৩০৭৩৯ অথবা ০৩১-৬৩৩৬৪৯।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক রেড ক্রিসেন্ট, স্বেচ্ছাসবক, চসিকের আরবান ভলান্টিয়ার টীম ও কর্মকর্তা-কর্মচারী জরুরি সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।এছাড়াও শুকনো খাবার, ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানি মজুদ রাখা হয়েছে। ঘূণিঝড়ে নগরীল কোথাও কোনো মানবিক বিপর্যয় ঘটলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বওে যোগাযোগ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় প্রভাবে সকাল থেকে চট্টগ্রামে কখনও ফোঁটা বৃষ্টি, কষনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষি¦টপাত রের্কড করা হয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অশনি মঙ্গলবার (১০ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১ হাজার ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি গতকাল ১ হাজার ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থানে ছিল।এছাড়া দেশের অন্যান্য সমুদ্রবন্দরের মধে মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply