মাদামবিবিরহাটে রাতের আঁধারে সি গোল্ড ফিলিং স্টেশন থেকে কোটি টাকার জেনারেটর চুরি

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডে রাতের আঁধারে একটি পেট্রোল পাম্প থেকে কোটি টাকা মূল্যের জেনারেটর চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। চোরর দল জেনারেটরটি একটি লোহার ডিপোতে নিয়ে গ্যাস দিয়ে কেটে লোহা হিসেবে বিক্রি করে দিয়েছে। এব্যাপারে মালিক পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি বলে জানান।

লোহার ডিপুটিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোটি টাকা মুল্যের জেনেরেটরটি গ্যাস দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী বিএম গেট এলাকার সি গোল্ড ফিলিং স্টেশন থেকে গত ১ মে রাতের আঁধারে ডোরম্যান জার্মানি নামক একটি ৫৮০ কেবি জেনারেটর, প্যানেল বোর্ড ও আনুষাঙ্গিক যন্ত্রাংশ ও ফাউন্ডেশন নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল। জেনারেটরটির মূল্য আনুমানিক এক কোটি ১০ লাখ টাকা। ঘটনার পর থেকে ফিলিং স্টেশনটির মালিক পক্ষ জেনারেটরটি খুঁজতে থাকে। শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার মোহাম্মদ লোকমান ও মোহাম্মদ আলীর ডিপোতে চুরিকৃত জেনারেটর ও মালামালের সন্ধান পেয়েছেন মালিক পক্ষ। ততক্ষণে সেটি কেটে টুকরো করে স্ক্র্যাপ লোহা বানিয়ে ফেলে।

এবিষয়ে গতকাল সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সি গোল্ড ফিলিং স্টেশনের মালিক আল-আমিন পারভেজ দীপ্ত। তিনি জানান, ওসির পরামর্শে জেনেরেটর চুরির ঘটনার সাথে জড়িত মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. এয়াকুব কাউছার বাপ্পি, মো. মানিক ও মো. রাসেলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ডিউটি অফিসারকে অভিযোগের কপি জমা দিলে তা তিনি গ্রহণ করেন। কিন্তু অভিযোগের কপি জমা নেওয়ার পর কোন রিসিভিং কপি দিতে অস্বীকৃতি জানান ডিউটি অফিসার। রিসিভ কপির জন্য ওসির সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই জেনারেটরটির মালিকানা দাবি করছেন দুই পক্ষ। তাই জেনারেটরটি আসলে কার তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে জেনেরেটর চুরির অভিযুক্ত মো. এয়াকুব কাউছার বাপ্পির কাছে চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এব্যাপারে নিউজ করলে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *