পাথরঘাটা গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ : ১৩দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে তৃষা

২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ দিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে মারা যায় ডরিন তৃষা গোমেজ। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ এ।

আজ শুক্রবার ২৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার সময় হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্যটি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া।

নিহত ডরিন তৃষা গোমেজ (২৩) পাথরঘাটার আশরাফ আলী রোডের মুসা কলোনির আয়শা মঞ্জিলের চতুর্থ তলার বাসিন্দা অনিল গোমেজ ও ন্যান্সি গোমেজের বড় কণ্যা। তিনি ইসলামিয়া কলেজে বি.কম সমাপনী পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং ওই এলাকার সেইন্ট জোন্স গ্রামার স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। বলে জানা গেছে।

ঘটনার দিন সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে রিক্সা করে সেইন্ট জোন্স গ্রামার স্কুলে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণে দেয়াল ধ্বসে গুরুতর আহত হয়েছিলো ডরিন তৃষা গোমেজ। এ ঘটনায় তৃষার পাজরের হাড় ভেঙ্গে ফুসফুসে ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় তার ব্রেন এবং কিডনিতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

এরপর থেকে তৃষা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য : ১৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণে দেওয়াল বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৪ জন পুরুষ ২ জন মহিলা ও একজন শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে আরো ৯ জন।

নিহতরা হলেন, পটিয়ার অ্যানি বডুয়া, কক্সবাজারের উখিয়ার নুরুল ইসলাম, সাতকানিয়ার একই পরিবারের ফারজানা আক্তার (মা) ও আতিকুর রহমান (ছেলে), পটিয়ার রিকশাচালক আব্দুর শুক্কুর, মহেশখালীর ভ্যানচালক মো. সেলিম ও লোহাগাড়ার মাহমুদুল হক।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *