বাটলারের বিধ্বংসী শতকে ফাইনালে রাজস্থান

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে মাটিতে নামিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে উঠে গেছে টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের শিরোপাজয়ী দল রাজস্থান রয়্যালস। ফর্মের তুঙ্গে থাকা জস বাটলারের বিধ্বংসী শতক রাজস্থানকে এনে দেয় ফাইনালের টিকিট।

১৫তম আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাটলার এবারের আসরে হাঁকালেন নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৬ সালে এক আসরে সর্বোচ্চ ৪টি শতক হাঁকানোর কৃতিত্ব ছিল বিরাট কোহলির, যিনি বাটলারের অভিন্ন কীর্তিতে এবারের আসর থেকে ছিটকে গেলেন দল নিয়ে।

আহমেদাবাদে হাই ভোল্টেজ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান রয়্যালস। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান জড়ো করে। ফাফ ডু প্লেসি ২৫ রান করতে খেলেন ২৭ বল। বিরাট কোহলি ৮ বলে করেন ৭ রান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রজত পতিদারই শেষপর্যন্ত হাল ধরেন দলের। ৪২ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৮ রান করেন তিনি। এছাড়া ১৩ বলে ২৪ রান করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

রাজস্থান রয়্যালসের পক্ষে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন প্রসিধ কৃষ্ণ ও ওবেদ ম্যাকয়। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন ট্রেন্ট বোল্ট ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রাজস্থান উদ্বোধনী জুটিতে পায় ৬১ রানের দেখা। জস বাটলারের সাথে তরুণ ওপেনার যশস্বী জাইসওয়ালও খেলছিলেন চড়াও হয়ে। তবে ১৩ বলে ২১ রান করে থামে জাইসওয়ালের ইনিংস। অধিনায়ক স্যাঞ্জু স্যামসনও বিদায় নেন ২১ বলে ২৩ রান করে। সুবিধা করতে পারেননি দেবদূত পাড়িকাল, যিনি ১২ বলে মাত্র ৯ রান করেন।

তবে বাটলার দলের কোনো বিপর্যয় ঘটতে তো দেননি, বরং আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে কোণঠাসা করে ফেলেন ব্যাঙ্গালোরের অভিজ্ঞ ও শক্তিশালী বোলিং লাইনআপকে। মাত্র ৬০ বলে ১০টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়ে ১০৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে শেষপর্যন্ত অপরাজিতই থাকেন বাটলার। এতে ১১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজস্থান।

আগামী ২৯ মে আহমেদাবাদেই অনুষ্ঠিত হবে আইপিএলের এবারের আসরের ফাইনাল। সেই ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হবে রাজস্থান রয়্যালস। প্রতিরোধহীন পরাজয়ে ফাফ ডু প্লেসি, বিরাট কোহলি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের আইপিএল জেতার স্বপ্ন এবারও অপূর্ণই থাকল।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *