বন্ধন এক্সপ্রেস ২৬ মাস পর চালু

করোনা মহামারিতে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা কলকাতা-খুলনার ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করেছে।

রোববার সকাল ৭ টা ১০ মিনিটে ১৯ জন যাত্রী নিয়ে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি কলকাতা স্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব রেল (শিয়ালদা ডিভিশন) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমার্শিয়াল ম্যানেজার ও জনসংযোগ আধিকারিক হরি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আজকে গিয়ে আজকেই আবার খুলনা থেকে কলকাতা ফিরে আসবে। যেহেতু প্রথম দিন তাই যাত্রীসংখ্যা কিছুটা কম ছিল। তবে কিছুদিনের মধ্যেই আসন সব পূর্ণ করে যাত্রা করবে বন্ধন এক্সপ্রেস।

দীর্ঘ ২৬ মাস পর বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রার দিনে যাত্রীদের মধ্যে ছিল উচ্ছ্বাস।

রোববার সকালে ট্রেন ছাড়ার আগে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স এবং বিএসএফ বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা বলয় মুড়ে ফেলা হয় কলকাতা স্টেশন চত্বর।

যাত্রীদের দেহ তল্লাশির পর কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন শেষে ট্রেন আসে স্টেশনে। ট্রেন ছাড়ার আগে স্নাইফার ডগ দিয়ে পুরো ট্রেনেও তল্লাশি চালানো হয়। এরপরে সবুজ পতাকা উড়িয়ে ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়।

বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রী খুলনার বাসিন্দা আল মামুন বলেন, স্থলবন্দরে যাত্রীদের ভিড় এবং কাস্টমস ইমিগ্রেশনের জটিলতায় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সীমান্তে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বাদ যায় না অসুস্থ রোগীরাও। বন্ধন এক্সপ্রেস নিয়মিত যাত্রা করলে ওই ভোগান্তি আর পোহাতে হবে না আমাদের।

ভারতীয় নাগরিক নন্দা বলেন, খুলনায় আমার আত্মীয়ের বাড়ি। তার বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছি। কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশনে দ্রুত সার্ভিস পেয়েছি। আগে থেকেই জানতাম, ট্রেনের যাত্রা কতটা স্বস্তির। ট্রেনে সওয়ার হয়ে সেটা আরও বেশি করে বুঝতে পারছি। এরপর বাংলাদেশে গেলে ট্রেনেই যাবো।

সপ্তাহে দুদিন রোববার এবং বৃহস্পতিবার এই ট্রেনটি কলকাতা থেকে খুলনায় যাতায়াত করে। মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় পৌঁছে যায় গন্তব্যে। ঢাকা-কলকাতার ট্রেনে মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহে পাঁচদিন চলাচল করে।

বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রীদের দুইটি ক্যাটাগরি আসন রয়েছে- এক্সিকিউটিভ ক্লাস এবং চেয়ার কার। এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ভাড়া ১২০০ রুপি, চেয়ার কারে ভাড়া ৮০০ রুপি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *