ফলাফল প্রত্যাখ্যান করলেন মনিরুল হক সাক্কু

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু। প্রায় ঘণ্টাখানেক ভোট গণনা বন্ধ থাকার পর বুধবার রাত সাড়ে ৯টার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী ১০৫ কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাতকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করেন।

ফলাফল ঘোষণার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘ আমি পুরোপুরিভাবে এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। এ বিষয়ে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব। আমার হিসাবে ৯৮০ভোটে এগিয়ে ছিলাম। শেষ মুহূর্তে ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘ইভিএমে যেহেতু নির্বাচন হয়েছে, ফলাফল ঘোষণায় তাহলে এতো দেরি কেন করলো। এতেই প্রমাণিত হয় ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন ফলাফল ঘোষণা নিয়ে শেষ সময়ে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার রাত ৯টার পর কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অতিরিক্ত পুলিশ প্রবেশ করে। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জও করে। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়েছেন।রিফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হয়।

কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে দুজন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *