ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাঙল বিটিএস!

বেশ কয়েক বছর হলো দক্ষিণ কোরিয়ার বয় ব্যান্ড গ্রুপ বিটিএস বিশ্বজুড়ে গান আর পারফরম্যান্স দিয়ে ঝড় তুলেছে। বিটিএস আর রেকর্ড যেন সমার্থক হয়ে উঠছিল। সেই বিটিএসে ভাঙনের সুর!

দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসিসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভক্তদের মন খারাপ করা খবর দিয়েছে ব্যান্ডটি। প্রতিষ্ঠার নয় বছর পর দলগত বিরতির ঘোষণা দিয়েছে তাঁরা। মূলত ব্যান্ডের সদস্যদের একক ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতেই এ সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে ‘আরও শক্তিশালী দল’ হয়ে ফেরার কথাও বলেছে বিটিএস।

দলটির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে যে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ২৯ বছরের সুগাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা এখন আলাদা হয়ে যাব।’

বিটিএসের আরেক সদস্য জিমিন বলেন, ‘এখন আমাদের নতুন ভাবনা শুরু হলো।’

তবে বিটিএসের সঙ্গে জড়িত বিনোদন সংস্থা হাইব এক বিবৃতিতে বলেছে, বিটিএস দল বিরতিতে যাচ্ছে না; গ্রুপ হিসেবে, পাশাপাশি এককভাবে তারা কাজ চালিয়ে যাবে।

হাইব বলছে, ‘বিটিএস বিরতি নিচ্ছে না। সদস্যরা এই সময়ে একক প্রকল্পের ওপর আরও ফোকাস করবে।’ কিন্তু এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।

গত ১৩ জুন বিটিএসের বিশেষ দিন ছিল। ঠিক ৯ বছর আগে যাত্রা শুরু হয়েছিল ব্যান্ডটির। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ জুন মুক্তি পায় ব্যান্ডটির নতুন অ্যালবাম ‘প্রুফ’। এই অ্যালবামে মোট ২৮টি গান রয়েছে।

সুগা, জে-হোপ, আরএম, জিমিন, জিন, ভি এবং জাংকুককে নিয়ে গড়ে ওঠে কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস। হয়ে ওঠে সারা দুনিয়ার তরুণদের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড।

দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড বিটিএসের সাত সদস্য তাঁদের গান ও নাচের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। সারা বিশ্বে তাঁদের প্রচুর ভক্ত। গত ফেব্রুয়ারিতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো আইএফপিআই গ্লোবাল রেকর্ডিং আর্টিস্ট অফ দ্য ইয়ার মুকুট জিতেছে বিটিএস। দলগত বিরতির খবরে সামাজিক মাধ্যমে ভক্তরা উদ্বেগ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, বিটিএসকে তাঁরা গ্রুপ ব্যান্ড হিসেবে দেখতে চান।

২০১৩ সালে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকে গানের কথা ও সামাজিক প্রচারাভিযানের মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়নেও সহায়তা করে আসছে তুমুল জনপ্রিয় এ কে-পপ ব্যান্ড।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *