যে ব্যায়াম জানাবে আপনার আয়ু আর কত দিন!

বেশিদিন বাঁচতে কে না চায়। তাই আয়ু নিয়ে চিন্তা প্রায় সকলের রয়েছে। আর তা যদি আগাম জানা যায় তাহালে তো ভালোই হয়! আর এমন সময় এক গবেষণা জানাচ্ছে একটি ব্যায়াম ইঙ্গিত দিতে পারে আয়ু কম না বেশি।

এক পায়ে কতক্ষণ ভর দিয়ে সোজা দাঁড়াতে পারছেন? তার উপর নির্ভর করবে, আগামী ১০ বছরে আপনার মৃত্যুর আশঙ্কা আছে কি না! এক পায়ে ভর দিয়ে সোজা দাঁড়াতে পারছেন না? হতে পারে এ বিপদের ইঙ্গিত।

গবেষণা বলছে, মধ্যবয়সি এবং বৃদ্ধরা যদি এক পায়ে ভর দিয়ে ১০ সেকেন্ডও সোজা দাঁড়াতে না পারেন, তা হলে আগামী ১০ বছরে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে দ্বিগুণ!

শরীরের ভারসাম্য কতটা সামলাতে পারছেন, তার উপর নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য। এর আগেও দেখা গিয়েছে, শরীরে ব্যালান্স হারিয়ে ফেলার সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকির একটি যোগ রয়েছে।

আরও গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা ঠিক মতো শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেন না, তাদের মস্তিষ্কেরও তাড়াতাড়ি ক্ষতি হয়। তাই ডিমেনশিয়ার পূর্ব লক্ষণ হিসাবে শরীরের ব্যালান্স কেমন, তা-ও ধরা হয়।

ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, আমেরিকা ও ফিনল্যান্ডের গবেষকদের এক আন্তর্জাতিক দল ১২ বছর ধরে একটি গবেষণা চালায়। তাদের লক্ষ্য ছিল শরীরের ভারসাম্যের সঙ্গে আয়ুর যোগ খুঁজে বের করা।

তবে এই গবেষণার ফল মূলত পর্যবেক্ষণের উপর দাঁড়িয়ে। কোনও বিজ্ঞানসম্মত কারণ এখনও পাওয়া না গেলেও গবেষণার ফল যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর! এই গবেষণাতেই দেখা গিয়েছে যারা ১০ সেকেন্ডও এক পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না, তাদের প্রত্যেকেরই তার পরবর্তী ১০ বছরে মৃত্যু হয়।

২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৭০২ ব্যক্তির উপর এই গবেষণা চালানো হয়। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ৫১ থেকে ৭৫ বছর বয়সিদের মধ্যে ছিল। এবং আপাত ভাবে তারা প্রত্যেকেই সুস্থ ছিলেন। কোনও বাড়তি সাহায্য ছাড়া তাদের সকলকে ১০ সেকেন্ডের জন্য এক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল।

তাদের হাত দু’পাশে রেখে দৃষ্টি সামনের দিকে স্থির করে দাঁড়াতে বলা হয়। দু’পায়েই তিন বার করে চেষ্টা করার সুযোগ ছিল। তাদের মধ্যে ২১ শতাংশ এই পরীক্ষা পাশ করতে পারেননি। এবং তার ১০ বছরের মধ্যে ১২৩ জন কোনও না কোনও কারণে মারা যান।

তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই গবেষণার কিছু সমস্যাও ছিল। যেমন যাদের উপর এই পরীক্ষা চালানো হয়, তারা প্রত্যেকেই ব্রাজিলের শ্বেতাঙ্গ। তাই বৃহত্তর ক্ষেত্রে একই রকম ফলাফল হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *