আফগানিস্তানে ভূমিকম্প : ৫ শয্যার ক্লিনিকে ৫০০ জনের চিকিৎসা!

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে পাকতিকা প্রদেশের গায়ান জেলার একটি ছোট্ট ক্লিনিক, যেখানে মাত্র পাঁচটি শয্য রয়েছে। কিন্তু, ভূমিকম্পে আহত অন্তত ৫০০ জনকে চিকিৎসার জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। যাদের মধ্যে ২০০ জন এক দিনেই মারা গেছে।

গত মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চল। সরকারি হিসাবে বুধবার পর্যন্ত সেখানে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। এখনও উদ্ধার কাজ চলছে।

তালেবান প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। তবে, বৃহস্পতিবার নিহতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, তার সঠিক হিসাব বিবিসির হাতে নেই।

গত দুই দশকের মধ্যে ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে এত মানুষের মৃত্যু হয়নি।

গায়ানের যে ক্লিনিকের কথা বলা হচ্ছে, সেখানকার একজন কর্মী মুহাম্মদ গুল বিবিসিকে বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে প্রায় ৫০০ রোগীকে এখানে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০০ জন মারা গেছে। অস্থায়ী এ ক্লিনিকের সবগুলো কক্ষই ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়েছে।’

মঙ্গলবারের ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাকতিকা প্রদেশে। সেখানকার প্রত্যন্ত গায়ান জেলা থেকে হাতেগোনা কয়েক জন রোগীকে হেলিকপ্টারে করে বিভিন্ন নগরীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কিন্তু, যাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই, তারা অস্থায়ী ওই ক্লিনিকে পড়ে আছেন। মাত্র দুজন চিকিৎসক তাঁদের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও জানান গুল।

ভূমিকম্পে পাহাড়ি গায়ান জেলার পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনও অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ‍ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার কয়েকটি অস্থায়ী হাসপাতাল সেখানে ছোটখাট রোগের চিকিৎসা হয়। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের, দুর্ঘটনায় পড়া বা জরুরি চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা সেগুলোতে নেই।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *