রাউজানে কোরবানির পশুরহাটে জমজমাট বিকিকিনি চলছে

রাউজান প্রতিনিধি: আগামি ১০ জুলাই সারাদেশে উযাপিত হবে মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। এই ঈদকে ঘিরে চট্টগ্রামের রাউজানে জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট-বাজার।

সরেজমিনে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কোরবানির ঈদকে ঘিরে মৌসুমি পশুর হাটগুলোতে প্রচুর পরিমান গরু-ছাগল বিক্রীর জন্য নিয়ে এসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

রাউজানের পিংক সিটি-২, লাম্বুরহাট, জিয়াবাজার, চৌধুরীহাট, রঘুনন্দন চৌধুরী হাট, মগদাই বাজার, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজার, গহিরা কালাচঁন্দ চৌধুরী হাট,হলদিয়া ভট্টপাড়া মাঠ, সোমবাইজ্জ্যা হাট, ডাবুয়ার মুছা শাহ বাজারসহ উপজেলার ১৬টি পশুরহাটে জমজমাট বিকিকিনি চলছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, চলতি বছর কোরবানি পশুরহাট অনেকটা চড়া। তবে শেষের দিকে দাম কমতে পারে এই আশায় অনেকে শনিবার পশুরহাটে নিজেদের পছন্দসই কোরবানির পশু কেনার অপেক্ষায় আছেন।

মৌসুমী কোরবানির পশু ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কোরবানির জন্য মজুদ রাখা পশুর খাদ্যে, ঔষদ থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম উর্ধ্বমুখী। যার ফলে কোরবানির পশুর দাম অন্যান্য বারের চাইতে কিছুটা বেশী।

অনেক বিক্রেতা জানান, লোকসান দিয়ে পশু ছেড়ে দিচ্ছেন তারা কারণ গো খাদ্যের দাম পূর্বের চেয়ে অনেক বেশী।

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ছাড়াও পাড়ায়-মহল্লায় গরুর খামারে কোরবানি পশু বেচাকেনা জমে উঠেছে। এছাড়া কোরবানির ঈদকে উপলক্ষ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা কোরবানির গরু ক্রয় করে অস্থায়ী গোয়ালঘর তৈরি করে মজুদ করেছেন।ছোট-বড় ডেইরি ফার্মেও দেশীয় পদ্ধতিতে লালনপালন করা গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছে খামারিরা।পাশাপাশি কৃষকরাও নিজেদের গৃহপালিত গরু-ছাগল কোরবানির ঈদ বাজারের জন্য মোটাতাজাকরণ করেছে। খামারিদের ডেইরি ফার্মে, মৌসুমী গরু ব্যবসায়ী অস্থায়ী গোয়ালঘরে, পাড়ায়-মহল্লায় কৃষকের গৃহপালিত গরু-ছাগল বিক্রি করা শুরু করেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কোরবানি পশুর হাটগুলোতে ভিড় জমেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। কোরবানির গরু-ছাগল বেচাকেনা হচ্ছে ভালো।হাট-বাজারে রয়েছে প্রচুর গরু-ছাগল।ব্যবসায়ী ও খামারিরা জানায়,নকোরবানির পশুর দামও ভালো হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্য চলছে দর কষাকষি। বুধ ও বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি অস্থায়ী বাজার পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, সত্তর, আশি হাজার টাকা থেকে শুরু করে
দুই থেকে তিন লাখ টাকা দামের গরু এনেছেন বিক্রেতারা।

মৌসুমি বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমানে ছোট- বড় ও মাঝারী দামের গরু এসেছে। পৌর এলাকার সবচেয়ে বড় পশুরহাট চারাবটতল বাজারে চলতি মৌসুমে বেশী পরিমাণ গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছে বলে জানান বাজার পরিচালক পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন চৌধুরী।

গহিরা কালাচঁন্দ চৌধুরী হাটে ৪শতাধিক গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছে বলে জানান বাজার পরিচালক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরু আবছার বাঁশি। বসে অস্থায়ী দলইনগর হাই স্কুলের মাঠে প্রতিবছর জমজমাট হয়ে উঠে মৌসুমি পশুর হাট।

রাউজান উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন,রাউজানে ৪শত ৩৩টি ডেইরি ফার্মে প্রায় ৩৮হাজার গরু-ছাগল প্রস্তুত করেছে খামারিরা।দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা গরু বিক্রি করবে তাঁরা।তবে মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রচুর গরু-ছাগল এনেছে।তাই কোরবানি দাতাদের কোরবানি দিতে পশুর অভাব হবেনা আশা করছি।

রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, রাউজানে কোরবানির পশুর হাট গুলোতে যাতে ক্রেতারা এসে নিরাপদে কোরবানির পশু কিনতে পারে সে জন্য সাংসদের নির্দেশে রাউজান থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *